সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বন্যার পানি ঘরে ঢুকে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলার অনেক মানুষ পুরোপুরি ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী নামানো হচ্ছে।

শুক্রবার (১৭ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান।

তিনি বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন আন্তরিকভাবে কাজ করছে। যাদের বাড়িঘরে পানি উঠেছে, তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে অথবা নিরাপদ জায়গায় চলে আসতে বলা হচ্ছে। ত্রাণ সহায়তাও দেওয়া হচ্ছে। সেনাবাহিনী দ্রুত উদ্ধার তৎপরতা শুরু করবে।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাতের বন্যার পানি গলাসমান হয়ে গেছে। শুক্রবার সকালে অনেক মানুষকে ঘরের চালায় আশ্রয় নিতে হয়েছে। বৃষ্টি হওয়ায় সেখানেও তারা থাকতে পারছেন না। নৌকার অভাবে আশ্রয়কেন্দ্রেও যেতে পারছেন না।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৬টায় সুরমা নদীর দুটি ও কুশিয়ারা নদীর একটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া সারি নদের একটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার অন্য নদ-নদীর পানিও ক্রমশ বাড়ছে।

স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও বন্যাকবলিত মানুষেরা জানিয়েছেন, সিলেট নগরের অন্তত ২০টি এলাকার পাশাপাশি জেলার কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, সদর, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ছয় শতাধিক গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এসব এলাকায় বেড়েছে জোঁক, সাপ ও পোকামাকড়ের উপদ্রব। চলাচলের জন্য মিলছে না নৌকা। ফলে জরুরি প্রয়োজনে কেউ ঘরের বাইরে বেরোতে পারছেন না।