টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জে দ্বিতীয় দফায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার (১৫ জুন) সকালে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড।

এরইমধ্যে প্লাবিত হয়েছে সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, দোয়ারা বাজারসহ চারটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল। পানিবন্দি হয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ১০ হাজার মানুষ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টানা বৃষ্টিপাতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর ও দোয়ারা বাজারসহ ৪ উপজেলার মানুষ। ঘরের ভেতরে পানি উঠে যাওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। অনেকে আবার টিনের বড় ড্রামগুলোকে নৌকা হিসেবে ব্যবহার করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন।

এদিকে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের সাহেব বাড়ি ঘাট, উত্তর আরপিন নগর, পুরান পাড়া, বড়পাড়া এলাকার রাস্তাঘাট বানের পানিতে ডুবে যাওয়ায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর ও দোয়ারাবাজার উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বানের পানিতে ডুবে গেছে।

পানিবন্দি মানুষ জানান, ঢলের পানি ঘরের ভেতরে থাকায় রান্না করার সুযোগও নেই। চুলাও পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, সুনামগঞ্জে দ্বিতীয় দফা বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। সেজন্য জেলার ১২টি উপজেলায় ইতোমধ্যে ২০ মেট্রিক টন করে খাদ্য সামগ্রী বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।