মুদ্রাবাজার স্বাভাবিক রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে। সোমবারও রিজার্ভ থেকে ১০ কোটি ৫০ লাখ ডলার বিক্রি করা হয়েছে। এর প্রভাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ দেড় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে পৌঁছেছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৪১ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলার। যা ২০২০ সালের নভেম্বরের পর সর্বনিম্ন। ২০২০ সালের নভেম্বরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজর্ভ ছিল ৪১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার।

এদিকে ব্যাংকগুলোর হাতে দাম ছেড়ে দেওয়ার পর বেড়েই চলেছে ডলারের দাম, বিপরীতে মান হারাচ্ছে টাকা। এবার ডলারের বিপরীতে টাকার দাম আরও ৫০ পয়সা কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন দামে প্রতি ডলারের বিনিময়মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৯২ টাকা ৫০ পয়সা, আগে যা ছিল ৯২ টাকা।

মুক্তবাজার পদ্ধতিতে চাহিদা বেশি থাকায় কয়েক মাস ধরে চড়া ডলারের মান। গত মঙ্গলবার ডলারের দাম সর্বোচ্চ ৯২ টাকায় বিক্রি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ঠিক একদিন পরই বুধবার হঠাৎ করে ডলারের দাম উল্টো ৫০ পয়সা কমে ৯১ টাকা ৫০ পয়সা হয়। এর ঠিক তিনদিন যেতে না যেতে আবারও ডলারের দাম ৫০ পয়সা বেড়ে ৯২ টাকায় দাঁড়ায়। একদিন পরই আবারও দাম বাড়লো ডলারের। এর বিপরীতে একদিনের ব্যবধানে ৫০ পয়সা দর হারালো টাকা।

সোমবার (১৩ জুন) আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার ৯২ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণ করছে না। ব্যাংকগুলো যে দামে লেনদেন করে, তার মধ্যে একটি দর বিবেচনায় নেওয়া হয়। আজ ৯২ টাকা ৫০ পয়সাকে বিবেচনায় নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

তিনি আরও বলেন, বাজারের চাহিদা মেটাতে সোমবার (১৩ জুন) ১০ কোটি ৫০ লাখ ডলার বিক্রি করা হয়েছে। এর ফলে রিজার্ভ কিছুটা কমে এসেছে। তবে রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্সপ্রবাহ বাড়লে রিজার্ভ আবারও বাড়বে।