শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ দুজনের বিরুদ্ধে করা মামলার কার্যক্রম বিচারিক (নিম্ন) আদালতে দুই মাসের জন্য স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

পাশাপাশি এই সময়ের মধ্যে তার বিরুদ্ধে করা মামলাটি কেন বাতিল হবে না, এই মর্মে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৩ জুন) আগের আদেশ সংশোধন করে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ননীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

এর আগে, ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একই আদেশে বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালক নুরজাহান বেগমের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রমও স্থগিত করেন।

পরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল আবেদন জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা। ওই আবেদনের শুনারি নিয়ে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে আজ আদেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলাটি কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। পরে মামলার বিবাদীদের হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন আদালত।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও শাহজাহান। পরে এই তিন আসামিও পৃথকভাবে মামলার আবেদন করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তারা শ্রম আইনের কিছু লঙ্ঘন দেখতে পান। এর মধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাদের স্থায়ী করা হয়নি।

এছাড়া শ্রমিকদের অংশগ্রহণ ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। কোম্পানির লভ্যাংশের পাঁচ শতাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা থাকলেও সেটিও মানা হয়নি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে এ মামলা করা হয়।