ভারতে মহানবিকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি করা বিজেপির সেই নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর আগে বরখাস্ত হন বিজেপির এই সাবেক মুখপাত্র। অবমাননাকর ওই মন্তব্য করার প্রায় দুই সপ্তাহ পর তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হলো। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এবং আনন্দবাজার পত্রিকা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
তিনি ছাড়াও বিজেপির দিল্লি শাখার সাবেক গণমাধ্যম প্রধান নবীন জিন্দল, সাংবাদিক শাবা নকভি, সংখ্যালঘু নেতা শাদাব চৌহানের, ধর্মীয় নেতা মৌলানা মুফতি নাদিমের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিজেপির ওই দুই নেতার মধ্যে একজন জাতীয় টেলিভিশনে এবং অপরজন টুইটারে মহানবি (সা.) এবং ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি এবং বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচার করেছেন। এরপরেই নির্দিষ্ট কোনো গোষ্ঠীকে উস্কে দেওয়া এবং এমন পরিস্থিতি তৈরি করা যা সমাজের শান্তি ও সম্প্রীতিকে ব্যাহত করে এমন অভিযোগে ওই দুই নেতাসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
একটি টিভি চ্যানেলে বিতর্কের সময় মহানবিকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি করেন নূপুর শর্মা। অপরদিকে নবীন জিন্দল এক টুইট বার্তায় বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচার করেছেন।
সম্প্রতি বিজেপির ওই দুই নেতার অবমাননাকর বক্তব্যের প্রতিবাদে তোলপাড় শুরু হয় বিশ্বজুড়ে। বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোতে ভারতীয় পণ্য বর্জনের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চাপ বাড়তে থাকে। এর মধ্যেই ওই দুজনের মধ্যে মামলা দায়ের করা হলো।
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের ‘ইন্টেলিজেন্স ফিউশন অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক অপারেশন (আইএফএসও) ইউনিট’-এর ডেপুটি কমিশনার কেপিএস মালহোত্র জানিয়েছেন, মহানবি (সা.) সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য নূপুরের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
দ্বিতীয় এফআইআরে নাম রয়েছে নবীন, শাবাসহ আট জনের। হিন্দু মহাসভার মুখপাত্র পূজা শাকুন পাণ্ডেও রয়েছেন সেই তালিকায়। সামাজিক মাধ্যমে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে অনিলকুমার মীনা, গুলজার আনসারি, আবদুর রহমানের নামেও দায়ের হয়েছে এফআইআর।
তবে বিজেপি সমর্থক অনেকেই এমন ঘটনা মানতে পারছেন না। তারা টুইটারে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। দলের শীর্ষনেতৃত্ব কেন নূপুর-নবীনের পাশে দাঁড়াচ্ছে না, সে প্রশ্নও তুলেছেন অনেকেই।