ভারত থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা ২০০ টনের বেশি গম প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে বন্দরে পড়ে আছে। এসব গমের পচা গন্ধ বন্দর এলাকায় বাতাসে ছড়াচ্ছে। বাছাই করা গম নতুন করে বস্তায় ঢুকিয়ে বন্দর থেকে সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

ভারতীয় এসব গম নিয়ে আমদানিকারক ও বন্দর সংশ্লিষ্টরা ভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন। আমদানি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের আসার পর ভিজে এসব গম পচে গেছে। তবে বন্দর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেষ দিকে আসা গম ভারতেই পচা অবস্থায় ছিল। এখন এসব গম থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।

তবে বন্দরের আরেকটি সূত্র জানায়, ভারতের ত্রিপুরার রাজ্যের আগরতলার সঙ্গে আসামের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণেই গমের এ দুর্গতি। মূলত নির্ধারিত সময়ে গম আসতে না পারা ও সেখানে বৃষ্টিতে ভেজাসহ নানা কারণে গম পচে যায়।

গমের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপের প্রতিনিধি মো. জিহাদ  বলেন, ‘মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য হয়ে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ২০০ টনের বেশি গম আমদানি করা হয়। কিন্তু ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণের করতে না পারায় বৃষ্টিতে ভিজে গমগুলো পচে যায়। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে গম শিগগিরই আমরা গোডাউনে নিয়ে যাবো।’

গম আমদানি করা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মো. আক্তার হোসেন  বলেন, ‘বৃষ্টিতে ভিজে কিছু গমে পচন ধরেছে। শিগগির গমগুলো নিয়ে যাবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান।’

স্থলবন্দরের পরিদর্শক (ট্রাফিক) মো. জাকির হোসেন  বলেন, ‘গমগুলো আনার আগেই হয় তো এমনটি হয়ে থাকতে পারে। আখাউড়া বন্দরে আসার পর এসব গম বৃষ্টিতে ভিজেনি। তবে আমি যতটুকু জানি শেষের দিকে আসা গম পচা ছিল।’