দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে এই অঞ্চলের প্রধান শত্রু দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এই অঞ্চলের দেশগুলোর একে অপরকে সহযোগিতা করা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেছেন, বহু সমস্যা দ্বিপাক্ষিকভাবে সমাধান করা যেতে পারে।

রোববার (৫ জুন) দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) মহাসচিব এসালা রোয়ান ওয়েরাকুন গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব মন্তব্য করেন। এসময় এসালা রোয়ান ওয়েরাকুনের স্ত্রীও তার সঙ্গে ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সেক্রেটারি এহসানুল করিম পরে সাক্ষাৎকারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শেখ হাসিনা আরও বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন কলকাতা সফরে যান, তখন তিনি তার ভাষণে সেখানে আঞ্চলিক সহযোগিতার ধারণাটি তুলে ধরেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে সংস্থাটির মহাসচিব সার্ক ফুড ব্যাংককে আরও শক্তিশালী করার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি সার্ক কৃষি কেন্দ্রে অবদানের জন্য বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসাও করেন।

শ্রীলঙ্কার নাগরিক ওয়েরাকুন বলেছেন যে করোনা মহামারি তার দেশে চলমান অর্থনৈতিক সংকটের জন্যও দায়ী এবং দ্বীপরাষ্ট্রটিকে বাংলাদেশ যে সহায়তা দিয়েছে তার প্রশংসাও করেন তিনি। শ্রীলঙ্কার ধানের উৎপাদন ৫০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি দেশটির সারের প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ অধিক জনসংখ্যার দেশ হওয়া সত্ত্বেও এই সংকটকালে শ্রীলঙ্কাকে আলু সরবরাহ করতে পারে। তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর বিশ্বব্যাপী খাদ্য সমস্যার মধ্যে বাংলাদেশ আরও বেশি খাদ্য উৎপাদনের পদক্ষেপ নিয়েছে। শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের গবেষকরা বিভিন্ন লবণাক্ত ও খরা-সহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এর আগে সার্কের এই কর্মকর্তা বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনে যান। শনিবার (৪ জুন) দুপুরে কাঠমান্ডু থেকে ঢাকায় আসেন তিনি। প্রায় ছয় বছর পর সার্কের কোনো মহাসচিব ঢাকায় এলেন। বর্তমান মহাসচিব এসালা রোয়ানের আরও আগেই ঢাকা সফর করার কথা থাকলেও করোনা মহামারির কারণে সেটি বিলম্বিত হয়।