চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের ডিএনএ পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ সোমবার (৬ জুন)। এরপরই স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। ডিএনএ সংগ্রহে ইতোমধ্যে বুথ স্থাপন করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে জেলা প্রশাসনে সহায়তা সেলের পাশে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহযোগিতায় এ বুথ স্থাপন করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান জানিয়েছেন, দাফন-কাফনের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা এবং আর আহতদের প্রাথমিকভাবে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। নিহতদের মাঝে ২১ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। এদের মাঝে রাত ১০টা পর্যন্ত ১২ জনকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অনেক মরদেহ শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তাই নিহতদের ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ টেস্ট করা হবে।

তিনি বলেন, ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সোমবার থেকে নমুনা সংগ্রহ করা শুরু হবে। তারপর নিয়ম অনুসরণ করে পরিবার ও স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

এদিকে আগুন এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নেভাতে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা একযোগে কাজ করছেন। ঘটনাস্থলে যৌথভাবে কাজ করছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রশাসন, র্যাব, সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্ট, সিপিপি ও স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীরা।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াস হোসেন চৌধুরী জানান, নিহতদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিকদের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের ৯ সদস্যও রয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। আগুন লাগার পর রাসায়নিকের কন্টেইনারে একের পর এক বিকট বিস্ফোরণ ঘটতে থাকলে বহু দূর পর্যন্ত কেঁপে ওঠে। আগুন নেভাতে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা একযোগে কাজ করছেন। অগ্নিকাণ্ড ও ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জন হয়েছে। তবে জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে মৃতের সংখ্যা ৪৬ জন। দগ্ধ ও আহত ১৬৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাতেই শনাক্ত হওয়া নিহতদের পরিবারে জেলা প্রশাসনের সহায়তার টাকা হস্তান্তর হয়েছে।