আম খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। গরম আসতেই আম খাওয়ার প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমের পুষ্টিগুণ শরীরের জন্যও অনেক উপকারী। এখনই আমের তৈরি বিভিন্ন পদ তৈরির সেরা সময়।

পাকা আমের পুডিং, আমসত্ত্ব, পানীয়, পায়েসসহ বিভিন্ন পদ কমবেশি সবাই খেয়েছেন। চাইলে পাকা আমের মালপোয়া তৈরি করে খেতে পারেন। এটি একবার খেলে মুখে লেগে থাকবে সব সময়। জেনে নিন রেসিপি-

উপকরণ

১. ময়দা ২০০ গ্রাম
২. মৌরি ১ চা চামচ
৩. এলাচ ১ চা চামচ
৪. ঘি ১ কাপ
৫. পানি ২৫০ মিলিলিটার
৬. খোয়া ক্ষীর ৫০ গ্রাম
৭. সুজি ১০০ গ্রাম
৮. বেকিং পাউডার আধা চা চামচ
৯. দুধ আধা লিটার
১০. চিনি ২৫০ গ্রাম
১১. আমরস ১০০ মিলি লিটার ও
১২. জাফরান সামান্য।

পদ্ধতি

প্রথমেই আমরস তৈরি করে নিতে হবে। এজন্য লাগবে- এলাচ গুঁড়া ১/৪ চা চামচ, জাফরান ১ চিমটি, আম ২টি, দুধ ১-২ টেবিল চামচ ও চিনি ১ টেবিল চামচ। আম ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে কেটে ব্লেন্ড এলাচ গুঁড়া মিশিয়ে নিতে হবে।

আম খুব মিষ্টি না হলে ১ টেবিল চামচ চিনি গুঁড়া মিশিয়ে নিতে হবে। এবার একটা পাত্রে মিশ্রণটা ঢেলে রেফ্রিজারেটরে রেখে দিতে হবে। তারপর বাটিতে ঢেলে জাফরান ছড়িয়ে দিয়ে গার্নিশ করতে হবে। ব্যাস তৈরি আমরস।

এবার চিনির সিরা তৈরি করে নিতে পানিতে চিনি মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। চিনি পুরো গলে যাওয়া পর্যন্ত নাড়তে হবে।
এবার উপর থেকে এক চা চামচ দুধ দিন। স্বচ্ছ কাচের মতো রস ফুটে ফুটে গাঢ় হলে নামিয়ে সরিয়ে রাখুন।

এবার মালপোয়ার ব্যাটার তৈরির পালা। এজন্য শুকনো পাত্রে সুজি, ময়দা, খোয়া ক্ষীর, মৌরি, ছোটো এলাচের গুঁড়ো, দুধ ভালো করে মিশিয়ে একটা ব্যাটার তৈরি করে নিন।

এবার কিছুক্ষণ রেখে দিন ব্যাটার। এতে ফ্লেভার ভালো হবে। তারপর প্যানে ঘি ও তেল গরম করে ব্যাটার দিয়ে ছোট ছোট করে মালপোয়া ভেজে নিন বাদামিরঙা করে।

তারপর রসে ডুবিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। রস থেকে তুলে উপরে আমরস মাখিয়ে নিন ভালো করে। পরিবেশনের আগে আমের মালপোয়ার উপরে বাদাম, জাফরান ও পেস্তা কুচি ছড়িয়ে দিন।