সৌদি আরব ও ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পরিকল্পিত সফর স্থগিত করা হয়েছে। চলতি মাসের শেষের দিকে এই দেশ দু’টিতে সফর করার কথা ছিল তার। তবে আলোচিত এই সফর জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক মার্কিন কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এই তথ্য জানিয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার (৪ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য সামনে এনেছে সংবাদমাধ্যমটি।
বেশ কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, সৌদি আরব ও ইসরায়েলে সম্ভাব্য সফর স্থগিতের পর এখন আগামী মাসে মধ্যপ্রাচ্যে একটি বিস্তৃত সফরের পরিকল্পনা করছে হোয়াইট হাউস।
বাইডেন প্রশাসনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, ‘জিসিসি+৩ এর শীর্ষ সম্মেলনের জন্য ইসরাইল এবং সৌদি আরব সফর নিয়ে কাজ করছি আমরা। আমরা এখন তারিখ নির্ধারণ নিয়ে কাজ করছি। যখন এ বিষয়ে কিছু ঘোষণা করার মতো তথ্য হাতে আসবে, আমরা করব।’
আরবি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, পারস্য উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের ওই বৈঠকে এই পরিষদের বাইরের যে তিনটি দেশ অংশগ্রহণ করবে সেগুলো হলো- ইরাক, জর্ডান ও মিশর।
পারস্য উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) মূল সদস্য দেশগুলো হলো- সৌদি আরব, কুয়েত, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও ওমান। শুক্রবার মার্কিন বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছিল, এই পরিষদের বৈঠক চলতি জুন মাসে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদমাধ্যম প্রতিবেদনে বলা হয়, একজন বিদেশি কূটনীতিক এবং দুই মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, জুনের শেষের দিকে সৌদি সফর হবে না এবং দুই মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ইসরায়েল সফরও পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই মাসে জার্মানি ও স্পেনে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের পূর্বনির্ধারিত সফরের জন্য উভয় সফরই স্থগিত করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ‘নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তাদের’ বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক গণমাধ্যমে বাইডেনের আসন্ন সৌদি আরব সফরের খবর দিলেও হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে কখনোই এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়নি।
এনবিসি বলেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট আগামী মাসে (জুলাইতে) মধ্যপ্রাচ্য সফরে যাবেন এবং এ সময় তিনি ইসরাইলে যাওয়া ছাড়াও পারস্য উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, সৌদি সফরে বিলম্বের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট হয়নি। বিদেশি কূটনীতিক এবং দুই কর্মকর্তা বলেছেন, সৌদি ও ইসরায়েলে স্থগিত ভ্রমণ পরিকল্পনা সম্পর্কে শুক্রবার তারা জানতে পেরেছেন। মার্কিন কর্মকর্তারা আরও বলছেন, সফরের এই তারিখগুলো আবারও পরিবর্তন হতে পারে।
উল্লেখ্য, সৌদি আরব ও ইসরায়েলে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সম্ভাব্য সফর ম্পর্কে বরাবরই মন্তব্য করতে অস্বীকার করে এসেছে হোয়াইট হাউস। এমনকি ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি এবং সৌদি দূতাবাসও এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দেয়নি।