একেকজনের হাঁটার ধরন একেক রকম। কেউ হাঁটেন জোরে আবার কেউ ধীর পায়ে। তবে হাঁটার ধরনও কিন্তু আপনার সম্পর্কে নানা বিষয়ে জানান দেয়।
এ বিষয়ে ১৯৩৫ সালে জার্মান মনোবিদ ওয়ার্নার উলফ দাবি করেন, মানুষের হাঁটার ধরন দেখেই নাকি বলে দেওয়া যায় তার চরিত্র। যদিও এ বিষয়ে আছে অনেক বিতর্ক।
>> যারা দ্রুত গতিতে হাঁটেন তারা অত্যন্ত পরিশ্রমী ও বহির্মুখী ব্যক্তিত্বের হন। এ ধরনের মানুষরা সাহসী ও উদ্যোগী হন। তারা উদ্যমী ও চিন্তামুক্ত জীবন-যাপন করতে ভালবাসেন।
>> আর যারা ধীর গতিতে হাঁটেন, তারা সাধারণত সতর্ক ও সাবধান থাকতে পছন্দ করেন। তারা অন্তর্মুখী স্বভাবের হন। এমনকি তারা আত্মকেন্দ্রিকও বটে।
>> যারা ধীর পায়ে ও স্বাচ্ছন্দে হাঁটেন তারা নিজের মতো করে জীবনযাপন করতে পছন্দ করেন। এমন ব্যক্তিরা খুবই আত্মবিশ্বাসী হন। তারা যে কোনো কাজই ঠান্ডা মাথায় করতে পারেন। কোনো বিষয় নিয়েই তারা উত্তেজিত বোধ করেন না।
>> যারা অত্যন্ত দ্রুত হাঁটেন তারা শান্ত, সন্তুষ্ট ও আত্মবিশ্বাসী হন। এ ধরনের ব্যক্তিরা মানুষের সঙ্গে যোগাযোগে পারদর্শী হন। আবার তাদের কথোপকথন বা দৃষ্টিভঙ্গি অন্যদেরকেও আকৃষ্ট করে।
>> অনেকেরই অভ্যাস আছে পা টেনে টেনে হাঁটার। এমনভাবে যারা হাঁটেন তারা উদ্বিগ্ন বা বেশি চিন্তিত ঘরানার হন। যারা পা টেনে হাঁটেন তাদের মনে দুঃখ-কষ্ট থাকে। তারা সব সময়ই বিভিন্ন বিষয়ে চিন্তিত থাকেন।
এমন ব্যক্তিরা অতীত নিয়ে বেশি ভাবেন বলেই বেশি দুঃখবোধ করেন। তাদের জীবন বা দৈনন্দিন কাজে শক্তি ও উদ্যমের অভাব লক্ষ্য করা যায়। অতিরিক্ত চিন্তিত থাকার দরুন তারা মনযোগ ধরে রাখতে পারেন না ও কোনো কাজ সঠিক সময়ে সমাধানও করতে পারেন না।