দেশের বিভিন্ন জেলার ১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বোরকা পরায় হেনস্তার শিকার হওয়ার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে অসাম্প্রদায়িক বা ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশে হিজাব ও বোরকা পরাকে সাংবিধানিক অধিকার বলে মন্তব্য করেছেন আদালত।

আগামী ৬০ দিনের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বোরকা পরার বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালত বলেন, বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। সব ধর্মের মানুষের এখানে সমান অধিকার। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা এবং রাষ্ট্র কর্তৃক সে অধিকার সমুন্নত রাখা একটি সাংবিধানিক দায়িত্ব। বোরকা বা হিজাব পরায় শিক্ষার্থীদের আদৌ হেনস্থা করা হয়েছে কি না এবং হেনস্থা করা হয়ে থাকলে এর পেছনে কারা দায়ী এবং তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেটি তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করতে হবে।

এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১১ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বোরকা বা হিজাব পরায় হেনস্তার শিকার হওয়ার অভিযোগ তোলা ১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- ১. নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার বারবারপুর উচ্চ বিদ্যালয়, ২. সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ব্রজেন্দ্রগঞ্জ আর সি উচ্চ বিদ্যালয়, ৩. সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, ৪. কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ৫. নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়, ৬. চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার জোয়ারগঞ্জ বৌদ্ধ উচ্চ বিদ্যালয়, ৭. চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার সাতবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়, ৮. গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ৯. মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার কালকিনি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, ১০. নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ কাজী ফজলুল হক উইমেন্স বিশ্ববিদ্যালয়, ১১. সিরাজগঞ্জের তারাশ উপজেলার বিষম ডাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ১২. ফেনীর জিয়া মহিলা কলেজ, ১৩. বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার আগৈলঝাড়া পয়সা মাধ্যমিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ১৪. সিলেটের কিশোরী মোহন উচ্চ বিদ্যালয় এবং ১৫. চট্টগ্রামের পতেঙ্গা মাইজপাড়া মাহমুদুন্নবী উচ্চ বিদ্যালয়।