ইজারা বা লিজ নেওয়া ইজিপ্ট এয়ারের (মিশর) উড়োজাহাজের অনিয়ম ও দুর্নীতি অনুসন্ধান সংক্রান্ত কাগজপত্র সংগ্রহ করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান কার্যালয় বলাকা পরিদর্শনে গেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান টিম।

বুধবার (১ জুন) বেলা ১১টায় দুদক উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি টিম হযরত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বলাকা অফিসে গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দুদকের জনসংযোগ দপ্তর।

মূলত তারা অনিয়ম সংক্রান্ত নথিপত্র সংগ্রহ করতেই সেখানে গেছে বলে জানিয়েছেন দুদকের জনসংযোগ শাখার উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আরিফ সাদেক। তিনি বলেন, এটা অভিযান নয়। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবেই দুদক টিম সেখানে গেছে।

এরই মধ্যে বাংলাদেশ বিমানের কাছে ১৩ ধরনের নথিপত্র তলব করছে দুদক।

বাণিজ্যিক সম্ভাব্যতা যাচাই না করে ২০১৪ সালে ৫ বছরের চুক্তিতে ইজিপ্ট এয়ার থেকে দুটি উড়োজাহাজ বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর লিজ নেয় বিমান। যার মধ্যে একটি বিমানের বহরে যুক্ত হয় ২০১৪ সালের মার্চে এবং অন্যটি একই বছরের মে মাসে। এক বছরের কম সময় অর্থাৎ ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লাইট পরিচালনার পর একটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। উড়োজাহাজটি সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকেই ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। পরে সেই ইঞ্জিনও নষ্ট হয়ে যায়। সেই ইঞ্জিন মেরামত করতে পাঠানো হয় যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানে। এসব করে ইজিপ্ট এয়ার ও মেরামতকারী কোম্পানিকে পাঁচ বছরে বাংলাদেশ বিমানের গচ্চা দিতে হয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকা।

ইজিপ্ট এয়ার ইজারা ও রক্ষণাবেক্ষণ অনিয়ম অনুসন্ধানে গত ২৮ মে দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন ও সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তারের সমন্বয়ে একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। এরপর অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন নথিপত্র চেয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলেও দুদক সূত্রে জানা গেছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল বরাবর পাঠানো চিঠিতে অনুসন্ধান টিম লিজ নেওয়ার দরপত্রসহ অন্তত ১৩ ধরনের নথিপত্র অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে সরবরাহ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।