পেট্রল-ডিজেল, ভোজ্যতেলের পর আরও একটি স্বস্তির খবর পেলেন ভারতের বাসিন্দারা। দেশটিতে এবার কমেছে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম। বুধবার (১ জুন) থেকে সেখানে ১৯ কেজি বাণিজ্যিক সিলিন্ডার কিনতে আগের চেয়ে অন্তত ১৩৫ রুপি খরচ কম হবে।
ভারতে শহরভেদে তেল-গ্যাসের দাম ভিন্ন হয়ে থাকে। তবে ১ জুন থেকে বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমেছে সবখানেই।
দিল্লিতে ১৯ কেজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ২ হাজার ৩৫৪ রুপি থেকে কমে ২ হাজার ২১৯ রুপি হয়েছে, কলকাতায় হয়েছে ২ হাজার ৪৫৪ রুপি থেকে ২ হাজার ৩২২ রুপি, মুম্বাইতে ২ হাজার ৩০৬ রুপি থেকে ২ হাজার ১৭১ দশমিক ৫০ রুপি এবং চেন্নাইতে এর দাম ২ হাজার ৫০৭ রুপি থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৭৩ রুপি।
বুধবার থেকেই বাণিজ্যিক এলপিজির নতুন দাম কার্যকর হয়েছে। তবে সেখানে গৃহস্থালি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ভারতে সাধারণত আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে মাসে দু’বার গ্যাসের দাম সংশোধন করে স্থানীয় তেল কোম্পানিগুলো।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে জানা যায়, টানা তিন মাস বাড়ার পর এই প্রথম ভারতে বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমলো। এর আগে, গত ১ মার্চে এর দাম বাড়ানো হয়েছিল ১০৫ রুপি, ১ এপ্রিল ২৫০ রুপি এবং গত ১ মে দেশটিতে বাণিজ্যিক এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বেড়েছিল ১০২ দশমিক ৫০ রুপি।
গ্রাহকদের সুবিধার কথা বিবেচনায় গত ২১ মে ভারতে পেট্রল-ডিজেল আমদানিতে শুল্কছাড়ের ঘোষণা দেন দেশটির অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীমারমন। এর ফলে পেট্রলের দাম লিটারপ্রতি সাড়ে নয় রুপি ও ডিজেল লিটারপ্রতি সাত রুপি কমবে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি, বাসাবাড়িতে রান্নার কাজে ব্যবহৃত গ্যাসেও মোটা অংকের ভর্তুকি দেওয়ার কথা জানান ভারতীয় মন্ত্রী।
পেট্রল-ডিজেলে শুল্কছাড়ের ঘোষণার দুদিন পরেই ভারতে কমে যায় ভোজ্যতেলের দাম। গত ২৩ মে ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়, দেশটিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেশিরভাগ তেলবীজের দাম কমেছে। কাচি ঘানি সরিষার তেলের দাম কমেছে প্রতি টিনে (১৫ কেজি) ৪০ রুপি। এছাড়া সয়াবিনের দাম কমেছে লিটারপ্রতি চার থেকে পাঁচ রুপি। পাম এবং বাদাম তেলের দামও নিম্মমুখী।