ঝালকাঠি জেলায় ডিমের উৎপাদন বেড়েছে। গত এক বছরে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৭৩ লাখ ডিম বেশি উৎপাদন হয়েছে। জেলায় ডিমের চাহিদা বাড়ায় পোল্ট্রি শিল্পে আগ্রহী হচ্ছেন অনেকে। তবে মুরগির খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ার দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এ জেলার খামারিরা।

জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, ডিমের উৎপাদন ও চাহিদা যাতে আরও বাড়ে, এ ব্যাপারে প্রচেষ্টা চালিয়ে নেওয়া হবে। ঝালকাঠি জেলায় গত এক বছরে ডিমের উৎপাদন হয়েছে ৭ কোটি ৯৩ লাখ। যেখানে ডিমের চাহিদা ছিল ৭ কোটি ২০ লাখ। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে বেশি উৎপাদন হয়েছে ৭৩ লাখ ডিম। জেলায় বর্তমানে ৫২টি লেয়ার, ৫৩টি সোনালি ও ১২২টি হাঁসের খামার রয়েছে। তবে এখানে ডিমের মূল চাহিদা পূরণ হয় লেয়ার মুরগি ও হাঁসের খামার থেকে।

খামারি ও খুচরা বিক্রেতারা জানান, বিগত সময়ের তুলনায় এ বছর তাদের বিক্রি ভালো হচ্ছে। বর্তমানে মুরগির খাবারের (ফিড) দাম বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই মুরগির খাবারের দাম কমানোর দাবি জানান খামার মালিকরা।

ঝালকাঠি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছাহেব আলী জাগো নিউজকে বলেন, জেলায় ডিমের উৎপাদন এবং চাহিদা দুটোই বেড়েছে। জেলায় ডিমের উৎপাদন ভালো হওয়ায় সহজেই তা সংগ্রহ করতে পারছেন বিক্রেতারা। এক্ষেত্রে পরিবহন খরচও কম লাগছে। ভবিষ্যতে জেলায় ডিমের উৎপাদন আরও বাড়াবে বলে আশা করছি।