বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ (৩০ মে)। ১৯৮১ সালের এদিন চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের হাতে নির্মমভাবে শহীদ হন তিনি। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিএনপি।

কর্মসূচিতে সোমবার (৩০ মে) ভোর ৬টায় দলের নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হবে। এসময় কালো পতাকা উত্তোলন ও নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করবেন।

এদিন বেলা ১১টায় দলের মহাসচিবসহ জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন ও মাজার জিয়ারত করবেন। এর পরপরই ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এবং সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন পর্যায়ক্রমে পুষ্পার্ঘ অর্পণ ও মাজার জিয়ারত করবে। দেশব্যাপী বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনসমূহ সাতদিন ধরে নানা কর্মসূচিতে মৃত্যুবার্ষিকী পালন করবে।

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় সূচনা করেন।

দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার অনুষ্ঠিত এক আলোচনাসভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জিয়াউর রহমানের জীবনে কোনো ব্যর্থতা নেই। তিনি শহীদ হয়েছেন, কিন্তু তার আদর্শ শহীদ হয়নি। তার দেখানো আদর্শেই এ দেশের মানুষের মুক্তি আসবে। তাই জিয়াউর রহমান সম্পর্কে যে যাই বলুক, তাতে কিছু যায় আসে না। যতই চেষ্টা করুক কোনোমতেই জিয়াউর রহমানকে মুছে ফেলা যাবে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এক দলীয় বাকশাল থেকে বহু দলীয় গণতন্ত্রে প্রবর্তন করায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে সাধারণ মানুষ উপরে স্থান দিয়েছে। জিয়াউর রহমানকে শ্রেষ্ঠ করতে কাউকে ছোট-বড় করতে হয় না। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তার কর্মকাণ্ডের তুলনা তিনি নিজেই।

বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন সমূহের কর্মসূচি
বুধবার (১ জুন) জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাসের আলোচনা সভা, একই দিন জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের আলোচনা সভা, ৪ জুন জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের আলোচনা সভা, ৫ জুন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আলোচনা সভা, ৬ জুন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের আলোচনা সভা, ৭ জুন জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।

এছাড়া আজ ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে মহানগরের ২৭টি থানাধীন ৭১টি ওয়ার্ডে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ করা হবে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।