ছাত্রদলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ অধিকাংশ নেতা ছাত্র নন, তারা ছাত্রের বাবা বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্রদল যারা করেন, তাদের বয়স এখন কত? যারা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, তারা কি ছাত্র? তাদের বয়স ৪০-এর কোটায়। তারা তো ছাত্রের বাবা। ছাত্রের বাবারা যখন শিক্ষাঙ্গনে প্রবেশ করতে চান, তখন ছাত্ররা তো উত্তেজিত হবেই। এটা খুব স্বাভাবিক।’
রোববার (২৯ মে) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক ইস্যুতে ব্রিফিংকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ছাত্রদলের পক্ষ থেকে প্রথমে উসকানি এসেছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্রলীগ উসকানি দেয়নি, দিয়েছে ছাত্রদল। যখন বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তারা প্রবেশ করতে চেয়েছেন, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত ছাত্ররা বাধা দিয়েছেন।’
খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে বাসায় থাকতে দেওয়া প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যেহেতু খালেদা জিয়া মুক্ত আছেন, তিনি জেলখানায় থাকলে এ প্রশ্ন আসতো না। তার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তভাবে জীবনযাপনের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং দেশে বিএনপির নেতৃত্বে বিশৃঙ্খলা, অগ্নিসন্ত্রাস, নৈরাজ্যের মতো ঘটনা ঘটলে দায় খালেদা জিয়ার ওপরও বর্তায়। সেজন্যই প্রশ্ন এসেছে, বেগম জিয়াকে এভাবে বাইরে রাখার প্রয়োজন আছে কি না। অনেকে দাবি তুলেছেন তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হোক।’
মেট্রোরেলের এত ঘন ঘন স্টেশন বিশ্বের কোথাও নেই, মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ যখন বেশি ছিল, তখন উনি (মির্জা ফখরুল) ডাক্তারের ভূমিকায় অবতীণ হয়েছিলেন। এখন দেখা যাচ্ছে, তিনি ইঞ্জিনিয়ারও হয়ে গেছেন। আমি বহু দেশের মেট্রোতে চড়েছি। ফ্রান্স, লন্ডন, বেলজিয়ামের ব্রাসেলসের প্রতি কিলোমিটারে একটি স্টেশন। অনেক ক্ষেত্রে এক কিলোমিটারের কম দূরত্বেও স্টেশন আছে।’
তিনি বলেন, ‘প্যারিস কিংবা লন্ডনের তুলনায় ঢাকায় মানুষের ঘনবসতি বেশি, যানজটও বেশি। সুতরাং এখানে ঘন ঘন মেট্রোরেলের স্টেশন হওয়াটাই অযৌক্তিক নয়। তবে যেটি পরিকল্পনা করে করা হয়েছে, তা কোনোভাবেই প্যারিস বা লন্ডনের চেয়ে বেশি নয়। মির্জা ফখরুল সাহেবকে অনুরোধ জানাবো, মাঝে মধ্যে ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ার হবেন না।’