গরমে অতিরিক্ত ঘাম, রোদ ও বৃষ্টির কারণে জ্বর-সর্দি-কাশিতে কমবেশি সবাই ভোগেন। তবে জ্বর-সর্দি ২-৩ দিনের মধ্যে সেরে গেলে কমতে চায় না কাশি। সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও অনেকেরই কাশি কমে না।

অ্যালার্জি, সংক্রমণ ও অ্যাসিড রিফ্লাক্সসহ বিভিন্ন কারণে কাশির সমস্যা বাড়তে পারে। এ সমস্যার সমাধান পাওয়াও কঠিন। কারণ দিনের পর দিন কাশির ওষুধ খাওয়াও স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো না।

তার চেয়ে প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্যে দ্রুত কাশি কমাতে পারেন। এজন্য ভরসা রাখুন ঘরোয়া ৩ উপায়ে। জেনে নিন করণীয়-

>> আদার স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে কমবেশি সবারই ধারণা আছে। আদা শুষ্ক বা হাঁপানির কাশি কমাতে পারে। কারণ এতে প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য আছে। এছাড়া এটি বমি বমি ভাব ও ব্যথা উপশমে কার্যকরী।

এক গবেষণা অনুসারে, আদার কিছু প্রদাহ-বিরোধী যৌগ শ্বাসনালির ঝিল্লি শিথিল করতে পারে। যা কাশি কমায় দ্রুত। গবেষকরা মূলত মানব কোষ ও প্রাণীদের উপর আদার প্রভাব অধ্যয়ন করে বিষয়টি জানিয়েছেন। যদিও এ বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন।

কাশি সারাতে এক কাপ গরম পানিতে ২০-৪০ গ্রাম তাজা আদার টুকরা মিশিয়ে কিছুক্ষণ জ্বালিয়ে আদা চা তৈরি করুন। স্বাদ বাড়াতে মধু বা লেবুর মেশাতে পারেন। আবার কাশি হলে মুখে এক টুকরো আদা রাখলেও স্বস্তি মিলবে।

>> কিছু গবেষণা অনুসারে, মধু কাশি উপশম করতে পারে। এক গবেষণায় শিশুদের রাতের কাশির চিকিৎসায় মধুকে কাশি-দমনকারী ওষুধ ডেক্সট্রোমেথরফানের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, মধু িকাশি থেকে দ্রুত মুক্তি দিতে পারে। তারপরে ডেক্সট্রোমেথরফান।

কাশি নিরাময়ের জন্য ২ চা চামচ গরম পানি বা ভেষজ চায়ের সঙ্গে মধু মেশান। দিনে একবার বা দুবার এই মিশ্রণটি পান করুন। তবে এক বছরের শিশুদেরকে মধু দেবেন না।

>> শ্লেষ্মাযুক্ত কাশি বা কফের চিকিৎসায় গরম পানির ভাঁপ বা স্টিম বেশ উপকারী। গরম পানিতে গোসল করলেও উপকার মিলবে। এর পাশাপাশি হালকা গরম পানি পান করুন।

গরম পানির ভাঁপ নেওয়ার সময় এতে ভেষজ বা এসেনশিয়াল অয়েল যোগ করুন, যেমন- ইউক্যালিপটাস বা রোজমেরি। এতে গলা দ্রুত পরিষ্কার হবে।

তবে টানা কয়েক সপ্তাহ কাশি স্থায়ী হলে ও ওষুধ কিংবা ঘরোয়া প্রতিকারেও না সারলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।