কিডনির বিভিন্ন সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। এর মধ্যে কিডনিতে পাথর হওয়ার সমস্যায় বেশিরভাগ মানুষ ভোগেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রস্রাবে ক্যালসিয়াম অক্সালেট বা ক্রিস্টাল একত্রে মিশে কিডনিতে পাথরের সৃষ্টি হয়।

কিডনিতে জমে থাকা ছোট পাথরগুলো মূত্রের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। তবে বড় পাথরগুলো মূত্রনালি দিয়ে যাওয়ার সময় তীব্র যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পর্যাপ্ত পানি না পান করার ফলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। আবার বংশগত কারণেও এই রোগ হতে পারে। কিডনিতে পাথর হলে মূত্রনালির যে কোনো অংশ প্রভাবিত হয়। প্রস্রাবের রং হলুদ থেকে লালচে হলে বা বমি বমি ভাব দেখা দেওয়া কিডনি স্টোনের লক্ষণ।

ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন (এনসিবিআই) দ্বারা পরিচালিত ২০১৪ সালের ইউএস সমীক্ষাসহ বেশ কয়েকটি গবেষণা অনুসারে, গরমে শরীর বেশি পানিশূন্য হয়ে পড়ে। ফলে কিডনি স্টোনের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

গরমে কেন বাড়ে কিডনির সমস্যা?

গরমে শরীর থেকে অতিরিক্ত ঘাম বের হওয়া ও মূত্রের মাধ্যমে পানি বের হয়ে যায়। এ সময় যদি আপনি শরীরের চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পানি পান না করেন, তাহলে পানিশূন্যতায় ভুগবেন। যা কিডনিতে পাথরের সৃষ্টি করে।

কিডনির পাথর অপসারণের ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা দুটি পদ্ধতি অবলম্বন করেন। পাথর ছোট হলে ডাক্তার রোগীকে তা গলানোর জন্য ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন। আর সঙ্গে পাথরের আকার বেড়ে গেলে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়।

কিডনি স্টোনের লক্ষণ কী কী?

>> প্রস্রাব করার সময় ব্যথা ও যন্ত্রণা
>> প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া
>> তলপেটে অসহ্য ব্যথা
>> বমি বমি ভাব ও বমি

প্রতিরোধে করণীয়

কিডনির পাথর এড়াতে অবশ্যই দৈনিক ৩-৪ লিটার পানি পান করা জরুরি। যারা গরমে দিনের বেলায় বাইরে কাজ করেন, তাদের উচিত আরও বেশি পানি পান করা। চিকিৎসকের মতে, কিডনি রোগীদের উচিত তাদের রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখা।

এর পাশাপাশি কিছু খাবার কম পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে। যেমন- চিনাবাদাম, পালংশাক, বিটরুট, চকলেট, বেশি প্রোটিন খাওয়া, জাঙ্ক ফুড, টিনজাত খাবার, আস্ত শস্যদানা, টমেটো বীজ, বেগুন, কাঁচা চাল, বিউলি, ছোলা, ঠান্ডা পানীয়, মাংস, অতিরিক্ত লবণ ইত্যাদি খাবার এড়িয়ে চলা ভালো।