সরকারবিরোধী ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের রূপরেখা তৈরিতে সম্প্রতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করছে বিএনপি। তবে এটিকে সংলাপের আড়ালে বিএনপি ও তাদের দোসর সাম্প্রদায়িক অপশক্তির গভীর ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) সকালে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ক্ষমতায় যেতে বিএনপি আবারও অন্ধ চোরাগলি খুঁজে বেড়াচ্ছে। দেশকে অস্থিতিশীল করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টায় লিপ্ত বিএনপি। দেশের জনগণও যে কোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
বিএনপি যদি আবারও ২০১৩-১৪ সালের মতো সহিংস ও জ্বালাও-পোড়াওয়ের রাজনীতি করে তাহলে জনগণের জান-মাল রক্ষায় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ রাজপথে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের ঐক্য করা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন এলেই তাদের ঐক্যের তোড়জোড় দেশের জনগণ অতীতেও দেখেছে। সেসব ঐক্য কাগজেই সীমাবদ্ধ। জনগণ কোনো ফল পায়নি।
বিএনপির ঐক্য অতীতে যেমন জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারেনি ভবিষ্যতেও পারবে না বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি নেতাকর্মীদের জেগে ওঠতে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আহ্বান প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ফখরুল সাহেবের বক্তব্যের মাধ্যমে বোঝা যায়, বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘুমের মধ্যেই আবদ্ধ থাকেন সারাক্ষণ।
‘দেশ ও দেশের জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন নিয়ে বিএনপি কোনো চিন্তা-ভাবনা করে না, তারা নিজেদের নিয়েই ভাবেন, কিভাবে ক্ষমতায় যাবেন সে ষড়যন্ত্রেই লিপ্ত থাকেন’, যোগ করেন কাদের।
দুঃশাসন, অন্যায়, অত্যাচার আর নির্যাতন বাংলাদেশকে গ্রাস করেছে, মির্জা ফখরুলের এ অভিযোগকে ‘কাল্পনিক’ আখ্যা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মুখে দুঃশাসনের কথা শোনে দেশের মানুষ হাসে। দুঃশাসন বলতে যা বোঝায় তা বিএনপির আমলেরই রেকর্ড। দুঃশাসনের কথা বলার আগে বিএনপি নেতাদের আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখা উচিত।
দেশের মানুষ এখন শেখ হাসিনা সরকারের ওপর খুশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অদম্য বাংলাদেশের এগিয়ে চলায় মানুষ গর্বিত। দেশের মানুষ বিএনপির সেই অপশাসন ও দুঃশাসনে আর ফিরে যেতে চায় না।
‘জনগণ এখন বুঝে গেছে, বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতিই বিএনপিকে গ্রাস করে ফেলেছে’- বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।