রাজধানী ঢাকাকে যানজটের নগরী বললে খুব একটা ভুল হবে না। এমনিতেই ঢাকার রাস্তায় বের হওয়া মানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকা, তার ওপর বৃষ্টি হলে তো সাপে বর। বুধবার (২৫ মে) দুপুরের বৃষ্টিতে রাজধানীর অনেক সড়কে পানি জমে যায়। ফলে সড়কে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। কোথাও কোথাও জলাবদ্ধ অবস্থা তৈরি হওয়ায় সড়কে দীর্ঘ সময় যাত্রীবাহী পরিবহন একই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

প্রতিবেদকদের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, কর্মদিবস হওয়ায় বুধবার এমনিতে ঢাকার সড়কে যানবাহন ও মানুষের চাপ রয়েছে। তার মধ্যে দুপুরের বৃষ্টির ফলে রাজধানীর কিছু কিছু সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক সড়কে বৃষ্টির পানি জমে জলজটের সৃষ্টি হওয়ায় জনসাধারণের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।

রাজধানীর শ্যামলী, কল্যাণপুর, আসাদগেট, নিউমার্কেট, পল্টন, জিপিএ, গুলিস্তান, মহাখালী, তেজগাঁও, গুলশানসহ বিভিন্ন এলাকায় দুপুর পর্যন্ত স্বাভাবিক যানজট থাকলেও দুপুরে বৃষ্টির পর সেটি আরও বেড়ে যায়। কোনো কোনো সড়কে গাড়ির লম্বা সারি তৈরি হয়। এতে করে বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার জন্য মানুষদের দীর্ঘ সময় রাস্তায় অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মৌসুমি বায়ুর দেশের ওপর সক্রিয় হওয়ার কারণে বৃষ্টি বাড়ছে। সামনে ঢাকাসহ অন্যান্য অনেক অঞ্চলে বৃষ্টি আরও বাড়বে। বুধবার দুপুর থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বিজলি চমকানোসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, গোপালগঞ্জ, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, পাবনা, রাজশাহী, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ (তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বয়ে যাচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় এটি প্রশমিত হতে পারে বলেও জানান তিনি।

গতকাল মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল যশোরে।

বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দিনাজপুর, রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।