গ্রীষ্মে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচুসহ লোভনীয় সব ফলের ভিড়ে অনেকটা অবহেলিত হয় জামরুল। রসালো হলেও এই ফল তেমন সুস্বাদু না হওয়ায় অনেকেই এড়িয়ে যান জামরুল। অনেকেরই হয়তো জানা নেই যে, জামরুল খেলে শরীরে কী ঘটে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, জামরুল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ১০০ গ্রাম জামরুলে ২২ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন সি মেলে। এমনকি প্রতি ১০০ গ্রাম জামরুল থেকে ২৯ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম মেলে। যা হাড় ও দাঁতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। জামরুল খেলে আরও কী কী উপকার পাবেন জেনে নিন-
বিশেষজ্ঞদের মতে, জামরুলে আছে জামবোসিন। যা আমাদের রক্তে স্টার্চ থেকে শর্করা তৈরির পক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এ কারণে চিকিৎসকরাও ডায়াবেটিস রোগীদের জামরুল খাওয়ার পরামর্শ দেন।
জামরুলে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকায় খাবার হজম করতে সুবিধা হয়। তাতে কোষ্ঠাকাঠিন্যের সমস্যাও কমে। এমনকি ওজন কমাতেও সাহায্য করে রসালো এই ফল।
জানলে অবাক হবেন, ছোট্ট এই ফল ক্যানসার নিরাময়েও উপযোগী। এতে ভিটামিন এ ও সি ছাড়াও আছে প্রচুর পরিমাণে সক্রিয় যৌগ। যা প্রস্টেট ও স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন জামরুল খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। আবার পেটের সমস্যায়ও দারুণ কাজ দেয় জামরুল। জামরুলে থাকা ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটায়।
জামরুল হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। এতে থাকা ক্যালসিয়াম হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। প্রতি ১০০ গ্রাম জামরুলে প্রায় ২৯ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। এই ক্যালসিয়াম হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
গরমের এই সময় পানিশূন্যতাসহ পেট ফাঁপার সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। তারা চাইলে খুব সহজেই এ সমস্যার সমাধান করতে পারেন জামরুল খেয়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম জামরুলে ৯৩ গ্রাম পানি থাকে।
যা শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখে ও পানিশূন্যতা রোধ করে। এছাড়া জামরুলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডায়াটারি ফাইবার আছে, যা পেট ফাঁপা ও ডায়ারিয়া প্রতিরোধে বিশেষভাবে কাজ করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মৌসুমি ফল শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে। তাই গরমে প্রাণভরে খেতে পারেন জামরুল। এমনকি ডায়াবেটিস রোগীরাও নিশ্চিন্তে এই ফল খেতে পারেন।