ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে সাতদিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৮ মে) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
সম্রাটের পক্ষে আজ আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মনসুরুল হক চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সামাজী। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। আর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
এর আগে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বুধবার (১১ মে) জামিন পেয়েছিলেন সম্রাট। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান তিন শর্তে ৯ জুন পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেছিলেন।
এরপর জামিন স্থগিত ও বাতিল চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিভিশন আবেদন করে দুদক। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে জামিন বাতিল করলেন হাইকোর্ট।
এটা ছিল সম্রাটের বিরুদ্ধে করা চার মামলার মধ্যে সবশেষ মামলার জামিন। এর আগে তিন মামলায় আদালত থেকে জামিন পেয়েছিলেন তিনি। ফলে সব মামলায় জামিন হওয়ায় তিনি মুক্তিও পান।
এর আগে ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
গত ১১ এপ্রিল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার। এছাড়া ১০ এপ্রিল অস্ত্র মামলায় ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফায়সাল আতিক বিন কাদের ও অর্থপাচার মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন জামিন মঞ্জুর করেছিলেন।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে তাকে নিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এসময় কার্যালয়ের ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া উদ্ধার করা হয়।