টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে এতদিন সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল মুশফিকুর রহিমের। মুকুটটি দীর্ঘদিন পর হাতবদল হলো। এই রেকর্ড এখন তামিম ইকবালের দখলে।

চট্টগ্রাম টেস্ট খেলতে নামার আগে ৬৫ টেস্টে তামিমের মোট রান ছিল চার হাজার ৮৪৮। এর চেয়ে ৮৪ রানে এগিয়ে ছিলেন মুশফিক (৮১ টেস্টে ৪৯৩২ রান)।  আজ তামিম সতীর্থকে ছাড়িয়ে অনন্য উচ্চতায় পৌছে গেলেন।

তামিম সোমবার ৩৫ রানে অপরাজিত থেকে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেন।

আজ সকালের সেশনে মাহমুদুল হাসানকে নিয়ে তার শুরুটাও ছিল বেশ ভালো। কোনো সুযোগ দেননি, অযথা ঝুঁকি নেননি। তবে রান তোলার সুযোগ পেলে, স্ট্রোক খেলার বল পেলে তিনি ছাড়েননি।

এভাবে টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩২তম অর্ধশতক তুলে নেন। এ সংস্করণে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের মালিকও হয়ে যান তামিম।

২৪তম ওভারে রমেশ মেন্ডিসের বলে চার মেরে অর্ধশতক তুলে নেন তামিম। পরের ওভারে ওপেনিং জুটিতে শতরানের দেখাও পেয়ে যান তামিম–মাহমুদুল। গত ৫ বছরের মধ্যে ৬২ ইনিংস পর টেস্টে এটাই প্রথম শতরানের জুটি বাংলাদেশ।

সর্বশেষ ২০১৭ সালে গলে এই শ্রীলংকার বিপক্ষেই ওপেনিং জুটিতে ১১৮ রান তুলেছিলেন সৌম্য সরকার ও তামিম।

লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত ৪৭ ওভারে বিনা উইকেটে ১৫৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ। তামিম ৮৯ রানে অপরাজিত। টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের দ্বিতীয় অর্ধশতক তুলে নিয়ে অন্য প্রান্তে ৫৮ রানে ব্যাট করছেন মাহমুদুল। ৩৮.২ ওভারে  ব্যক্তিগত ৫১ রানে পুল করতে গিয়ে ‘জীবন’ পান এই ওপেনার। ফাইন লেগে তার সহজ ক্যাচ নিতে পারেননি লাসিথ এম্বুলদেনিয়া।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে তামিম যেভাবে ব্যাট করছেন, তাতে শতকের সুবাস পাওয়া যাচ্ছে। শ্রীলংকার কোনো স্পিনার ধনঞ্জয়া, এম্বুলদেনিয়া কিংবা মেন্ডিসদের আজ প্রায় কোনো সুযোগই দেননি তামিম। ব্যক্তিগত ৮৫ রানে মুশফিককে পেছনে ফেলে টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের মালিক হন তিনি।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৬৬ টেস্টে তামিমের রান সংখ্যা চার হাজার ৯৩৭। মুশফিকের (৩৬.২৬) চেয়ে ব্যাটিং গড়ে এগিয়ে তামিম (৪০.০১)। শতক ও অর্ধশতকসংখ্যায়ও এগিয়ে। ৬০ ম্যাচে চার হাজার ২৯ রান নিয়ে তিনে সাকিব আল হাসান।