সাভারের আশুলিয়ায় চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় এক ডাকাত সদস্যকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা। আহত ডাকাত সদস্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান।
সোমবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আশুলিয়ার নবীনগর সেনা শপিং কমপ্লেক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডাকাতরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে যাত্রীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ডাকাতি করতে থাকে। এ সময় ডাকাতের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন এক যুবক। বাস থেকে লাথি দিয়ে ফেলে দিলে আরেক নারীও আহত হন।
বাসে থাকা এক যাত্রী বলেন, সাভার পরিবহণের একটি বাস বাইপাইল থেকে সাভারের দিকে রওনা হয়। বাইপাইলে থেকে বাসটি ছেড়ে নবীনগরে সেনা মার্কেটের সামনে গেলে একজন ডাকাত হঠাৎ লাফ দিয়ে ছুরি নিয়ে ড্রাইভারের কাছে গিয়ে বসে। ড্রাইভারকে বলে, ওস্তাদ গাড়ি দাঁড় করাবেন না। দাঁড় করাইলে একদম মাইরা দিমু। এ সময় এক যাত্রী বাস থেকে লাফ দিয়ে বাইরে পড়ে যায়।
পরিস্থিতি দেখে এক নারী যাত্রী নেমে যেতে চাইলে তাকে ডাকাতরা মারধর করে বাস থেকে ফেলে দেয়। এ সময় ডাকাতরা আরেক যাত্রীর পায়ের রগ কেটে দেয়।
ডাকাতির ঘটনা টের পেয়ে পুলিশ চলতি বাসে উঠে এক ডাকাতকে আটক করে। এ সময় ওই ডাকাত সদস্য বাসের যাত্রীদের গণধোলাইয়ের শিকার হন।
প্রত্যক্ষদর্শী ইমরান খান বলেন, সাভার পরিবহণের একটি বাস সেনা মার্কেটের সামনে এলে এক নারীকে বাস থেকে ফেলা দেওয়া হয়। এ সময় বাসের যাত্রীরা ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করছিল। মার্কেটের সামনে ট্রাফিক পুলিশের এসআই হেলাল ডিউটি করছিলেন। তিনি নারীকে ফেলে দেওয়া দেখে দৌড়ে একাই বাসে গিয়ে উঠেন। পরে ছুরি হাতে থাকা একজনকে জাপটে ধরে আটক করে ফেলেন।
এ সময় ডাকাতের সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় এসআই হেলাল আহত হন। বাকি ডাকাত সদস্যরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে উপস্থিত জনতা ওই ডাকাত সদস্যকে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশের এসআই আসলাম তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার এসআই আসলামুজ্জামান বলেন, পুলিশ ওখানে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার এক ডাকাতকে উদ্ধার করে রাতেই ঢাকা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে গণধোলাইয়ের শিকার সন্দেহভাজন ডাকাতের মৃত্যু হয়েছে। নিহত ডাকাতের পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় বাসটি জব্দ করা সম্ভব হয়নি। ঘটনার পর বাসটি দ্রুত স্থান ত্যাগ করেছে।