ন্যাটোতে যোগ দেওয়া নিয়ে ফিনল্যান্ডকে সতর্ক করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তোকে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, বর্তমানে ফিনল্যান্ডের নিরাপত্তার জন্য কোনো হুমকি নেই। তবে এ অবস্থায় ফিনল্যান্ড তার নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে সরে আসা হবে একটি ‘ভুল’ সিদ্ধান্ত।

ফিনল্যান্ডের ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার বিষয়টি শিগগির আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এসময় দুই দেশের প্রধানদের মধ্যে ফোনালাপ হলো একই ইস্যুতে।

এদিকে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর সুইডেনও পশ্চিমা জোটে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।

ফিনল্যান্ডের সঙ্গে প্রতিবেশী রাশিয়ার এক হাজার ৩০০ কিলোমিটারের দীর্ঘ সীমান্ত সংযোগ রয়েছে। এখন পর্যন্ত, দেশটি তার পূর্ব প্রতিবেশীর সঙ্গে বিরোধিতা এড়াতে ন্যাটোর সঙ্গে সম্পৃক্ততার বাইরে থেকেছে। তবে রাশিয়া দেশটিতেও ইউক্রেনের মতো হামলা করে বসতে পারে, এমন শঙ্কা থেকেই ফিনল্যান্ড সরকার ন্যাটোতে যোগ দেওয়া নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সরাসরি ফিনল্যান্ডকে কোনো হুমকি না দিলেও বারবার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে আসছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরই ধারাবাহিকতায় এবার দেশটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করেছে পুতিন প্রশাসন। শনিবার (১৪ মে) রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম আরটির এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়। রাশিয়ার জ্বালানি সরবরাহকারী কোম্পানি আরএও জানিয়েছে, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

যদিও ফিনল্যান্ডের ন্যাশনাল গ্রিড এক্সিকিউটিভ রেইমা পাইভিনেন বিবিসিকে বলেছেন, রুশ স্থগিতাদেশের কারণে কোনো সমস্যা হয়নি। তিরি আরও বলেছেন, রাশিয়া থেকে মাত্র ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়, যেটি বিকল্প উৎস থেকেও নেওয়া যেতে পারে।

শনিবার (১৪ মে) দুই দেশের প্রধানদের ফোনে কথা বলার পর ক্রেমলিনের বিবৃতিতে সতর্ক করে বলা হয়েছে, ফিনল্যান্ডের সামরিক নীতির পরিবর্তন প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে রাশিয়ার দীর্ঘদিনের দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

ন্যাটোতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ না দিলেও আগে থেকেই তাদের সঙ্গে কাজ করছে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের সেনাবাহিনী। আফগানিস্তানে ন্যাটোর নেতৃত্বাধীন অভিযানেও অংশ নিয়েছিলেন দেশ দুটির সেনা সদস্যরা। দুই দেশই সামরিক সরঞ্জাম ও প্রশিক্ষণের বিষয়ে ২০১৫ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে বলে জানা গেছে। তবে রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের পর দেশ দুটির জনগণের মধ্যে ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে সমর্থন আরও বেড়েছে।