ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বাণিজ্যিক ভবনে অগ্ণিকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৭ জনের দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকালে ৪তলা ভবনটিতে আগুন লাগার সময় প্রায় ২০০ জন ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। যার মধ্যে ২৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

দিল্লির মুন্ডকা মেট্রো স্টেশনের কাছে ভস্মীভূত ভবনটির এখনও উদ্ধার হচ্ছে দগ্ধ দেহাংশ। এর ফলে মৃতের সংখ্যা ২৭ থেকে আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখনও ২৫ জন নারী এবং ৫ জন পুরুষ নিখোঁজ বলে উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন।

ভবনটির দুই মালিক বরুণ গয়াল এবং সতীশ গয়াল দিল্লি পুলিশের হাতে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন।

মৃত্যু সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন উদ্ধারকর্মীরা।

ভবনটিতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না রাখায় এবং বিশাল এ বাণিজ্যিক ভবনটিতে একটি মাত্র সিঁড়ি রাখায় বাণিজ্যিক ভবনটির দুই মালিক হরিশ গোয়েল ও বরুণ গোয়েলকে এ প্রাণহানির জন্য দায়ী করা হয়েছে।

এছাড়া ভবনটি নির্মাণে দমকল বাহিনীর সার্টিফিকেটও নেওয়া হয়নি। শুক্রবার বিকালে ভবনটির দ্বিতীয় তলায় একটি মটিভেশনাল স্পিচের অনুষ্ঠান চলছিল। সেখান থেকেই মূলত আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানায় পুলিশ।

এ সময় দ্রুত গোটা ভবনটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। একটি মাত্র সিঁড়ি থাকায় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে অনেকে পড়ে যায়। এ অবস্থায় দগ্ধ হয়ে মারা যান।

দমকল বাহিনীর ২৪টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। শুক্রবার গভীররাত পর্যন্ত উদ্ধার ৫০ জন উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১২ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দিল্লির সঞ্জয় গান্ধী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পোড়া ভবন থেকে শুক্রবার গভীররাত থেকে একে একে বের করে আনা হচ্ছে মৃতদেহ। পোড়ার ক্ষত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অন্তত ৫০ জন।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে মৃতদের পরিবার পিছু ২ লাখ ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।