উত্তর কোরিয়ায় গত বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে করোনা সংক্রমনের কথা স্বীকার করে।
এর একদিন পর বৃহস্পতিবার থেকে দেশটিতে লকডাউন জারি করা হয়। গত শুক্রবার করোনায় দেশটিকে ৬ জন মারা যান। খবর সিবিএস নিউজের।
শুক্রবার করোনার উপসর্গ নিয়ে নতুন করে আরও ২১ জন মারা যান বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।
এদিন নতুন করে আরও এক লাখ ৭৪ হাজার ৪ হাজার ৪৪০ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এনিয়ে দেশটিতে করোনায় মারা গেলেন ২৭ জন এবং করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ২৪ হাজার ৪৪০ জন।
উত্তর কোরিয়ায় গত বুধবার সরকারিভাবে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা স্বীকার করার পর দেশজুড়ে লকডাউনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দেশটিতে ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়েছে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম কেসিএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
দেশটির শীর্ষ নেতা কিম জং উনকে এক টিভি ভাষণে প্রথমবারের মতো মাস্ক পরতে দেখা যায়। কিম জং উন করোনার এ প্রাদুর্ভাব মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে জরুরি বৈঠক করছেন।
তবে উত্তর কোরিয়ার সরকারি ভাষ্যে বুধবার প্রথমবারের মতো কোভিড রোগী শনাক্তের কথা বলা হলেও দেশটিতে অনেক দিন থেকেই করোনাভাইরাসের উপস্থিতি আছে বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের।
নিজেদের জনগণকে উত্তর কোরিয়া কোনো কোভিড-১৯ টিকা দেয়নি। চীনের তৈরি সিনোভ্যাক টিকা এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার ডোজ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলেও দেশটি উভয়ই প্রত্যাখ্যান করেছে।
করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হওয়ার পরই নিজেদের সব সীমান্ত বন্ধ করে দেয় উত্তর কোরিয়া। এ পদক্ষেপের মাধ্যমেই দেশে ভাইরাসটির প্রবেশ বন্ধ করতে চেয়েছেন তারা।
কিন্তু সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ায় দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি গুরুতর আকার ধারণ করে এবং জরুরি পণ্য আমদানিও হ্রাস পায়, এতে দেশজুড়ে খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়।
উত্তর কোরিয়ার ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী চীনেই প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় আর দেশটি এখন ওমিক্রন ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণের জন্য সংগ্রাম করছে। উত্তর কোরিয়ার অপর প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়াও করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখেছে।