দেশে ভোজ্যতেল নিয়ে যারা সংকট তৈরি করেছেন তারা চিহ্নিত হয়েছে। এই ব্যবসায়ীদের তথ্য প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

সোমবার (৯ মে) বেলা ১১টায় সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ভোজ্যতেলের বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

আগামীতে তেলের দাম বাড়বে কিনা এমন প্রশ্নে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক বাজার মনিটর করবো। আশপাশের দেশগুলো দেখে বিবেচনা করবো সবকিছু। যতদূর দাম কমানো যায় তার চেষ্টা করবো।

তিনি বলেন, এলসি কত দামে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ক্লিয়ার করলো সেটা ধরে তেলের দাম নির্ধারণ হয়। আজকে ২৫০ টাকা হয়েছে সেটা ধরে কিন্তু দাম নির্ধারণ হচ্ছে না। আজকের দামে যদি ফিক্স করতাম তাহলে গতকাল টনপ্রতি তেলের দাম ছিল ১৯৫০ ডলার।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, ভোক্তা অধিকার আমাদের সাহায্য করছে। এত হাজার হাজার ব্যবসায়ীর কাছে পৌঁছানো মুশকিল। যেখানে যেখানে সম্ভব আমরা চেষ্টা করছি।

তেলের সংকট তৈরি করা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, খুচরা পর্যায়ে কিন্তু কাজটি করেছে। আমাদের ভোক্তা অধিকার যেখানেই এ ধরনের ঘটনা পাচ্ছে তাদের জরিমানা-মামলা করছে। আমরা অ্যাসোসিয়েশনকে বলেছি তাদেরও ব্যবস্থা নিতে হবে। মিল মালিকদেরও করতে হবে মনিটরিং। কোন কোন জায়গায় এ ধরনের ডিলার আছে তাদের ডিলারশিপ বাতিল করতে পারেন। আইনগতভাবে যেখানে যেটা দরকার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ভোজ্যতেল নিয়ে ব্যবসায়ীরা তাদের কথা রাখেনি উল্লেখ করে টিপু মুনশি বলেন, বলেছিলাম রমজানকে সামনে রেখে দাম বাড়াবেন না। কিন্তু তারা ঈদের সাতদিন সেই কথা রাখেনি। আমাদের সব অর্গানাইজেশনকে বলেছি, যে দাম নির্ধারিত আছে সেটি যাতে ঠিক রাখা হয়।

রমজানে ব্যবসায়ীদের কাছে তেলের দাম না বাড়ানোর অনুরোধ করাটা ভুল ছিল উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, উচিত ছিল রমজানের ১৫ তারিখ দামটা বাড়ানো। কিন্তু একজন মুসলমান হিসেবে অনুরোধ করেছিলাম দয়া করে এটা বাড়াবেন না।

আন্তর্জাতিক বাজারে তেলে দাম কত বেড়েছে তা মিডিয়ায় আসা উচিত বলে জানান টিপু মুনশি। মন্ত্রী বলেন, লন্ডনে এক লিটার তেল ফিক্সআপ করে দেওয়া হয়েছে, জার্মানিতে তেলই পাওয়া যাচ্ছে না সে কথাটা জানা দরকার। যদি দাম আরও বাড়ে, যুদ্ধ অনেকদিন চলে। আবার দাম কমলে সেটাও বলা উচিত।

এসময় বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।