ক্যানসার প্রাণঘাতী এক ব্যাধি। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে সহজেই ছড়িয়ে পড়তে পারে ক্যানসার। মারাত্মক এই ব্যাধি সম্পর্কে সবারই জানা থাকলেও তা নিয়ে সচেতন নন অনেকেই। আর এ কারণে প্রাথমিক অবস্থায় ক্যানসার শনাক্ত করা সম্ভব হয় না। ফলে বেড়ে যায় মৃত্যুঝুঁকি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্যানসার যত দ্রুত নির্ণয় করা যায় ততই বাড়ে চিকিৎসার সুযোগ। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্যানসারের প্রাথমিক উপসর্গগুলো অবহেলা করেন মানুষ। এর ফলে অনেক দেরি হয়ে যায় চিকিৎসায়।

যে কোনো রোগ শরীরে বাসা বাঁধলেই শরীরে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। ঠিক তেমনই শরীরে ক্যানসার ছড়িয়ে পড়তেই বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। যা বেশিরভাগ মানুষই সাধারণ ভেবে ভুল করেন। বিশেষ করে ৫ লক্ষণ অবহেলা করলেই বিপদ। জেনে নিন কী কী-

>> আঘাত বা প্রদাহ ছাড়াই শরীরের কোথাও ফোলাভাব দেখলে অবহেলা করবেন না। অনেক সময় ক্যানসার সৃষ্টিকারী টিউমার ত্বকের উপর থেকেও বোঝা যায়।

বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে স্তনে ও পুরুষদের ক্ষেত্রে অন্ডকোষে ফোলাভাব দেখলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

>> হঠাৎ করেই যদি মলত্যাগের অভ্যাস বদলে যায় বা মলত্যাগ করতে সমস্যা হয়, তাহলে তা হতে পারে কোলন ক্যানসারের ইঙ্গিত। আর যদি মলের সঙ্গে রক্ত পড়ে তাহলে দ্রুত বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন।

অনেকে এসব উপসর্গকে অর্শ ভেবে ভুল করেন। ফলে দেরি হয়ে যায় চিকিৎসায়। অন্যদিকে ছড়িয়ে পড়ে ক্যানসার।

>> সর্দি-কাশি হওয়াটা স্বাভাবিক, তবে কাশি না সারলে আবার বিপদ। কাশি যদি তিন সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয় তাহলে আর দেরি করবেন না।

এটি ফুসফুসের ক্যানসারের অন্যতম প্রধান লক্ষণ। দীর্ঘমেয়াদি কাশিকে সাধারণ বা অ্যালার্জির সমস্যা ভেবে অবহেলা করবেন না।

>> গলা ব্যথা বা খাবার গিলতে সমস্যা হওয়ার লক্ষণও কিন্তু ভালো না। বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘদিন এই সমস্যার কারণ হতে পারে গলা, খাদ্যনালি কিংবা পাকস্থলীর ক্যানসারের লক্ষণ।

>> আচমকা ওজন কমে যাওয়াও কিন্তু বিপদের লক্ষণ। যদিও ওজন কমে যাওয়ার পেছনে থাকতে পারে ডায়াবেটিস কিংবা থাইরয়েডের সমস্যা।

তবে কোনো কারণ ছাড়াই ওজন কমে যাওয়ার ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। তাই এসব লক্ষণ দেখলে মোটেও অবহেলা না করে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন।