দিনভর ভোগান্তির পর রাতেও ফেরিতে ওঠার জন্য একপ্রকার যুদ্ধ করতে হয়েছে কর্মস্থলমুখী যাত্রীদের। বাইকের পেছনে বসে থাকা স্ত্রী, সন্তান বা সঙ্গে থাকা ব্যাগের দিকে তাকানোর সময় নেই চালকের। পাল্লা শুধু ফেরিতে উঠতে হবে। হাজারও মোটরসাইকেল ঘাটে অপেক্ষমান। কে কার আগে ফেরিতে উঠবে। মোটরসাইকেলের হর্নের শব্দে প্রকম্পকিত হয় এলাকা। আর হেডলাইটের আলোয় আলোকিত হয় ঘাট।

শনিবার (৭ মে) রাতে এমনই দৃশ্য দেখা যায় বাংলাবাজার ফেরিঘাটে। ফেরিতে ওঠার সময় পন্টুনের কাছে গিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ে যান ভাঙ্গা থেকে আসা বাইকার রফিকের স্ত্রী সোনিয়া। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তাকে ফেরিতে উঠতে হয়। একইভাবে আরো প্রায় ১০ থেকে ১২টি মোটরসাইকেল পন্টুনের সামনে গিয়ে পড়ে যায়।

পটুয়াখালি থেকে আসা বাইকার ফয়সাল আহমেদ জানান, ফেরিতে পাল্লা দিয়ে উঠতে গিয়ে পেছন থেকে কেউ পড়ে গেলেও খবর পান না চালক। পাল্লা শুধু ফেরিতে উঠতে হবে। হাজারও মোটরসাইকেল ঘাটে অপেক্ষমান। কে কার আগে ফেরিতে উঠবে।

বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ম্যানেজার সালাউদ্দিন জানান, বাংলাবাজার শিমুলিয়া নৌরুটে এবার অপেক্ষাকৃত কম সংখ্যক ফেরি দিয়ে ঈদে যাত্রী পারাপার করতে হয়েছে। অনেক ফেরি মাস্টাররা এবার পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ফেরি চালাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তাই এবার ঈদে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরির সংখ্যা কম ছিল। এ কারণে এবার যাত্রীদেরও একটু ভোগান্তি বেশি হয়েছে।

তিনি বলেন, এ রুটে ৫টি ফেরি দিয়ে যাত্রী, জরুরি গাড়ি ও কাঁচামালবাহী গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে। কিছু গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। আমরা সিরিয়াল অনুযায়ী সকল গাড়িই পারাপার করছি। আর চার নম্বর ঘাট দিয়ে শুধুমাত্র মোটরবাইক পার করছি। প্রতিটি বাইকের জন্য ৭০ টাকা করে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।