দ্বিতীয় বারের মতো ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয়ী হলেন এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ফ্রান্সের নাগরিকরা রোববার (২৪ এপ্রিল) প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে ভোট প্রয়োগ করেন। প্রতিদ্বন্দ্বী কট্টর ডানপন্থী মেরি লে পেনকে হারিয়ে ২০ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় বার জয়ী হয়ে ইতিহাস গড়লেন ম্যাক্রোঁ।

এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ পেয়েছেন ৫৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ ভোট, অন্যদিকে, তার প্রতিদ্বন্দ্বী মেরি লে পেন পেয়েছেন ৪১ দশমিক ৪৫ শতাংশ ভোট।

আবারও প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হওয়ায় এবার ঐক্যের ডাক দিলেন এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট সবার জন্য।

স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ, চলে রাত ৮টা পর্যন্ত। এর আগে ১০ এপ্রিল, অনুষ্ঠিত ভোটের প্রথম পর্বে ক্ষমতাসীন এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জয় পান।

২০০২ সালের পর থেকে কোনো ফরাসি প্রেসিডেন্ট পরপর দুবার নির্বাচিত হননি। ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ১৯৬৫ সালে সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফ্রান্সে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হয়েছিলেন শার্ল দ্য গল। এবার একই তালিকায় নাম লেখালেন ম্যাক্রোঁ।

নির্বাচনী প্রচারণায় এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, জ্বালানি খাতে খরচ নাগালের ভেতরে রাখার জন্য তার সরকার ইতোমধ্যে কোটি কোটি ইউরো খরচ করেছে। এছাড়া তিনি চাকরিদাতাদের প্রস্তাব দিয়েছেন তাদের কর্মীদের ৬০০০ ইউরো পর্যন্ত বোনাস হিসেবে দেওয়ার জন্য। তিনি শিক্ষকদের বেতন বাড়াতে চান এবং টিভি লাইসেন্স ফি বাতিল করতেও প্রস্তুত।

এ ছাড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার কথা বলেছেন ম্যাক্রোঁ। তিনি এটাও দাবি করেন যে, তার সময়ে অপরাধ কমেছে দেশটিতে। ফ্রান্সে কয়েক বছর ধরে হামলার ঘটনা বেড়ে গেছে। ফলে ভোটারদের কাছে নিরাপত্তা ইস্যুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ফ্রান্সে কয়েক বছর ধরে সন্ত্রাসী হামলা বেড়ে যাওয়ার পর এমানুয়েল ম্যাক্রোঁও ধর্মীয় ইস্যুতে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। তবে সবার মন জয় করে অবশেষে আবারও ক্ষমতায় এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।