আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও টিকিট পেতে ভিড় লেগেছে মানুষের। ভোর থেকেই কমলাপুর রেলস্টেশনে কাউন্টারের সামনে লাইনে দাঁড়িয়েছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা। আবার অনেকে রাত থেকেই দাঁড়িয়েছেন।
এর আগে শনিবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। তখন কমলাপুর রেলস্টেশনে উপচে পড়া ভিড় ছিল। দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকার পর এদিন কারো ভাগ্যে টিকিট জোটে। আবার যারা টিকিট পাননি তারা রোববার (২৪ এপ্রিল) এসে লাইনে দাঁড়িয়েছেন।
লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মো. জাকির বলেন, গতকাল দাঁড়িয়ে থেকেও টিকিট পাইনি। শেষ হয়ে গেছে। সেই একই লাইনে আজও দাঁড়িয়ে আছি। আশা আছে এবার টিকিট পাবো।
মো. ইমরান হোসেন নামের আরেক টিকিটপ্রত্যাশী বলেন, গতকাল দুপুরের মধ্যে টিকিট শেষ হয়ে যায়। ফলে রাতেই লাইনে দাঁড়িয়েছি, যেন টিকিট কাটতে পারি।
টিকিট পেতে ভোগান্তির কথা উল্লেখ করেন মো. মাহির। তিনি খুলনা যাওয়ার টিকিট নিতে এসেছেন।
ক্ষোভ প্রকাশ করে মাহির বলেন, টিকিট পাওয়াটাই এখন কঠিন হয়ে গেছে। গতকাল রাত ৩টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছি। এখনো অনেক মানুষ সামনে। পরিবার নিয়ে গ্রামে যাওয়াই কঠিন হয়ে যায় ঈদে।
আরেক যাত্রী মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, যানজটের কারণে ট্রেনের টিকিট কাটতে গতকাল রাতে এসে দাঁড়িয়েছি। দূরপাল্লার বাসের ভাড়াও অনেক বেশি। আবার অনেক ভোগান্তিতেও পড়তে হয়। দুর্ভোগ যেন কম হয় তাই ট্রেনের টিকিট কাটতে আসলাম।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট দেওয়া শুরু হয়। এদিন দেওয়া হয় ২৭ এপ্রিলের টিকিট, আর ২৮ এপ্রিলের টিকিট দেওয়া হবে ২৪ এপ্রিল।
এছাড়া ২৫ এপ্রিল দেওয়া হবে ২৯ এপ্রিলের টিকিট, ২৬ এপ্রিল দেওয়া হবে ৩০ এপ্রিলের টিকিট এবং ১ মে’র টিকিট দেওয়া হবে ২৭ এপ্রিল।
আর ৩ মে ঈদ হলে ২৮ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ২ মে’র ট্রেনের টিকিট। ঈদযাত্রা শেষে ট্রেনের ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১ মে থেকে।
এবারের ঈদযাত্রার সুবিধার্থে ছয় জোড়া বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।