চীনের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র (হাব) সাংহাইতে মার্চের শেষের দিকে নতুন করে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। কিন্তু লকডাউনের বিধিনিষেধের মধ্যেও থেমে নেই করোনা সংক্রমণ। এতে করে কোভিড নিয়ন্ত্রণে চীন প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ প্রশ্নের মুখে পড়ছে।
রোববার (১৭ এপ্রিল) লকডাউনের পর প্রথমবারের মতো সাংহাইতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একই দিনে সেখানে নতুন করে ২২ হাজার জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সাংহাইয়ের স্বাস্থ্য কমিশনের বরাত দিয়ে এমন তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
মৃত তিনজনের বয়স ছিল ৮৯ থেকে ৯১ বছর। তারা করোনার টিকা নেন নি এবং তাদের বেশ কিছু শারীরিক জটিলতা ছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাংহাইয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে তা রীতিমতো উদ্বেগজনক। সেখানে করোনার ওমিক্রন ও ডেল্টা ধরনে সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়লেও মৃত্যুহার অপেক্ষাকৃত কম। সাংহাইয়ের স্বাস্থ্য কমিশনের তথ্যমতে, শহরটিতে ১০ দিনের নবজাতক থেকে শুরু করে ১০০ বছর বয়সী ব্যক্তি সবাই ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন।
গত মার্চে চীনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জিলিন প্রদেশে দুজনের করোনায় মৃত্যুর খবর আসে। এর কিছুদিন পরই ‘জিরো কোভিড নীতি’ গ্রহণ করে বিভিন্ন শহরে কড়া লকডাউনের ঘোষণা দেয় চীন প্রশাসন।
এদিকে, সাংহাইয়ের বেশ কিছু আবাসনকে ‘সেফ হোম’ করে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। আড়াই কোটি লোকের শহর সাংহাইয়ে পর্যায়ক্রমে সবার করোনা পরীক্ষা করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। কিন্তু এতেও সংক্রমণের হার কমানো যাচ্ছে না।