ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলছে সংস্কারকাজ। ফলে দাউদকান্দিসহ কুমিল্লার কয়েকটি জায়গায় যানজট তৈরি হচ্ছে। সংস্কার কাজ শেষে না হলে আসন্ন ঈদুল ফিতরেও ভয়াবহ যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গ্রামে ফেরা মানুষদের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার শহিদনগর ও হাসানপুর এলাকায় চার লেনের সংস্কারকাজে চলছে। ফলে চার লেনের যানবাহনগুলো দুই লেনে চলাচল করছে। এ সময় ভিআইপিদের ব্যক্তিগত গাড়ি ও রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও যাত্রীবাহী যানবাহন নিয়ম লঙ্ঘন করে চলাচল করছে। এতে মহাসড়কের ওই অংশে প্রতিনিয়ত যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
অনেক সময় সংস্কার এলাকার কয়েক কিলোমিটারে সৃষ্টি হওয়া যানজট ধীরে ধীরে ঢাকার দিকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ ও কুমিল্লার দিকে চান্দিনা এলাকা পর্যন্ত বিস্তার লাভ করে।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহুরুল হক বলেন, মহাসড়কের সংস্কারকাজের সময় চার লেনের যানবাহনগুলো দুই লেনে চলাচল করে। তখন কিছু চালক নিয়ম ভেঙে আগে যাওয়ার চেষ্টা করলে যানজট তীব্র আকার ধারণ করে। ঈদকে সামনে রেখে আমাদের হাইওয়ে পুলিশের একাধিক টিম যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, কুমিল্লা থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার মহাসড়কের এক বছর মেয়াদি চার লেনের পরীক্ষামূলক সংস্কারকাজ গত বছরের নভেম্বর মাসে চান্দিনা উপজেলা থেকে শুরু হয়। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে সংস্কারকাজটি পুরোদমে চালু হয়। বিটুমিন ও পাথর ভারত থেকে হিলি ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্থলবন্দর দিয়ে আনার কারণে মাঝেমধ্যে সংকট দেখা দেয়। তখন সংস্কারকাজ বন্ধ রাখতে হয়।
এ প্রকৌশলী আরও বলেন, এছাড়া বৃষ্টি ও অতিরিক্ত রোদের কারণেও মাঝেমধ্যে সংস্কারকাজ বন্ধ রাখতে হয়। তবে ঘোষণা না দিলেও যানজট এড়াতে ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকেই স্বাভাবিকভাবে সংস্কারকাজ বন্ধ রাখতে হবে।