ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে বিশ্বজুড়ে। এরই মধ্যে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যারে ক্ষেত্রে উঠে এসেছে ভয়ঙ্কর তথ্য। রাশিয়ার বিরুদ্ধে উঠেছে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করছে রাশিয়া। অন্যদিকে ইউক্রেনে পশ্চিমাদের অস্ত্র সহায়তার ঢল অব্যাহত রয়েছে। এমন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি সামরিক সংঘাতে জাড়ানোর বিষয়ে সতর্ক করেছে মস্কো। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম আরটির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত অ্যানাতোলি অ্যান্তোনব জানিয়েছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরু হওয়ার পর ন্যাটো ও তার মিত্ররা সরাসরি সংঘাতে যুক্ত না থকলে কিয়েভকে অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে পশ্চিমা নেতারা সরাসরি যুক্ত হচ্ছেন। এর মাধ্যমে তারা সংঘাত আরও বাড়ানোর উসকানি দিচ্ছেন। তাছাড়া তাদের এ ধরনের পদক্ষেপকে বিপজ্জনক ও উসকানিমূলক বলেও অভিহিত করেছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়াকে সরাসরি সামরিক সংঘর্ষের পথে নিয়ে যেতে পারে।
এদিকে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবা রাশিয়ান বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য ন্যাটোর কাছে আরও অস্ত্র সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছেন। এসময় তিনি দাবি করেন ইউক্রেন শুধু নিজেদের রক্ষা করছে না ইউরোপীয় ইউনিয়নকে রক্ষায়ও কাজ করছে।
অ্যান্তোনব রাশিয়ার দৃঢ় অবস্থানের কথা জানিয়ে বলেন, ইউক্রেন ইস্যুতে মস্কোর অবস্থান একই রয়েছে। তিনি বলেন রাশিয়ার উদ্দেশ্য হলো ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ, নাৎসি মুক্তকরণ, পারমাণবিক অস্ত্র থেকে বিরত রাখা, ক্রিমিয়ার স্বীকৃতি আদায় ও ডোনেস্ক ও লুহানেস্কের স্বাধীনতা।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন এরই মধ্যে ছয় সপ্তাহ পেরিয়েছে। এ সময়ে ৪০ লাখেরও বেশি ইউক্রেনীয় দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ নিহত কিংবা আহত হয়েছে। চলমান এই যুদ্ধের ফলে ইউক্রেনের মোট জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। এছাড়াও দেশটির বিভিন্ন শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।