বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় রমজান এলেই খেজুরের চাহিদা বেড়ে যায়। খেজুর স্বাদেও যেমন সুস্বাদু, এর স্বাস্থ্য উপকারিতাও অনেক। তাই স্বাস্থ্য সচেতনদের কাছে খেজুর একটি সুপারফুড হিসেবে বিবেচিত।
যারা প্রক্রিয়াজাত চিনি বা মিষ্টি গ্রহণে আনিচ্ছুক তাদের জন্য খেজুর একটি সেরা বিকল্প। জানা যায়, সারা বিশ্বে প্রায় ৩০০০ প্রজাতির খেজুর আছে।
এর মধ্যে প্রতিবছর মিশরে উৎপাদিত হয় প্রায় ১৬ লাখ মেট্রিক টন। ১৫ লাখ মেট্রিক টন খেজুর উৎপাদন করে দ্বিতীয় সৌদি আরব। তিন, চার ও পাঁচে আছে ইরান, আলজেরিয়া ও ইরাক। যথাক্রমে উৎপাদন করে ১৩ লাখ, ১১ লাখ ও সোয়া ছয় লাখ মেট্রিক টন।
বাংলাদেশের বাজারে ১০০টিরও বেশি প্রজাতির খেজুর পাওয়া যায়। যার মধ্যে মাবরুম, মরিয়ম, সুকারি, সুগাই, ভিআইপি, মাশরুক, কালমি, আম্বার ও আজওয়া অন্যতম।
রমজান মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থেকে যেমন- মিশর, ইরাক, ইরান, সৌদি আরব, দুবাই, তিউনিসিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, আলজেরিয়াসহ বিভিন্ন দেশে থেকে খেজুর আসে বাংলাদেশে।
বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেজুর হলো আজওয়া। এর মধ্যেও আবার অনেক পদ আছে। সৌদি আরব থেকে আসে এই আজওয়া খেজুর। এর দাম প্রতি কেজি ৮০০-২৫০০ টাকা পর্যন্ত।
মদিনায় এ খেজুরের ফলন হয় বেশি। আজওয়া খেজুর কালো ও মাঝারি আকৃতির হয়ে থাকে। পুষ্টি ও মানের দিক দিয়ে সবচেয়ে ভালো খেজুরগুলোর মধ্যে আজওয়া রয়েছে প্রথম সারিতে।
আজওয়া খেজুর নরম ও অনেক সুস্বাদু হয়। এগুলো আকারে ছোট ও উপরে সাদা রেখা দেখা যায়। এই বৈশিষ্ট্যগুলোই আপনাকে সঠিক আজওয়া খেজুর বাছাই করতে সাহায্য করবে।
মেডজুল নামক খেজুর যা ‘খেজুরের রাজা’ হিসাবেও পরিচিত। এটি এখন দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। এর দাম প্রায় ১২০০-১৫০০ কেজি।
পুষ্টিবিদদের মতে, খেজুরে থাকে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ক্যালোরি, সোডিয়াম, আয়রনসহ আরো অনেক খাদ্য উপাদান। এছাড়া খেজুরে রয়েছে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা।