অনেকেই স্কিনকেয়ার রুটিনে নিয়মিতভাবে প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহার করেন। হাতের কাছে থাকে তেমনই কিছু উপকরণ ক্লিনজার, স্ক্রাব, টোনার কিংবা ফেসমাস্ক হিসেবে ব্যবহার করেন কেউ কেউ। সবারই কমবেশি ধারণা থাকে প্রাকৃতিক উপাদানে ত্বকের কোনো ক্ষতি হয় না।

তবে জানেন কি, রান্নাঘরের এমন কিছু উপাদান আছে যেগুলো ত্বকের যত্নে মোটেও উপযোগী নয়। দীর্ঘদিন এসব ব্যবহারের কারণে ত্বকের নানা ধরনের সমস্যায় ভুগতে পারেন। এ বিষয়ে ভারতের দেগা অর্গানিকসের প্রতিষ্ঠাতা আরতি রাগুরাম রান্নাঘরের ৫ উপাদান ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। জেনে নিন কী কী-

>> ত্বকের কালো দাগ-ছোপ দূর করতে অনেকেই লেবু সরাসরি মুখে ব্যবহার করেন। লেবু কিন্তু অত্যন্ত অ্যাসিডিক। এ কারণে এটি ত্বকের পিএইচ ভারসাম্যকে নষ্ট করতে পারে।

ফলে মারাত্মক অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া, অতিরিক্ত শুষ্কতা, লালভাব ও ত্বকে চামড়া ওঠার সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে ফেসমাস্কের মধ্যে এক বা দু’ফোঁটা লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন।

>> ডিআইওয়াই ফেস স্ক্রাবে চিনি ব্যবহার করেবেন না। কারণ সংবেদনশীল ত্বকে চিনি ব্যবহারের কারণে মুখের টিস্যুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ফলে প্রদাহ, জ্বালা, লালভাব, শুষ্কতা এবং অন্যান্য ত্বকের সমস্যা হতে পারে। ব্রণের সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিদের কখনই সাদা লবণ বা চিনি ব্যবহার করা উচিত নয়। সেক্ষেত্রে সমস্যা আরও বাড়তে পারে।

>> ত্বকের কালো দাগ ওঠাতে ও উজ্জ্বলতা বাড়াতে অনেকেই মুখে বেকিং সোডা ব্যবহার করেন। বেকিং সোডা দিয়ে মুখ ধোয়া, ফেস মাস্ক হিসেবে উপাদানটি প্রয়োগ করলে ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক তেল কমে যেতে পারে। ফলে ত্বকে সংক্রমণ ও ব্রণ আরও বাড়তে পারে। এমনকি সূর্যের সংবেদনশীলতা ও হাইপারপিগমেন্টেশনও হতে পারে।

>> দারুচিনিও ত্বকের যত্নে সরাসরি ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে ত্বকে জ্বালাপোড়া হতে পারে। রান্নাঘরের যে কোনো উপাদান দিয়ে রূপচর্চা করতে চাইলে অবশ্যই সঙ্গে মধু কিংবা অলিভ অয়েল মিশিয়ে নেবেন।