দেশে হঠাৎ বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। আইসিডিডিআরবি এতো ডায়রিয়া রোগীর চিকিৎসায় হিমশিম খাচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. মো.নাজমুল ইসলাম বলেছেন, ‘গ্রীষ্ম আসার আগে আগেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ডায়রিয়া রোগের প্রকোপ বাড়ার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকায় ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।’
তিনি জানান, দৈনন্দিন কাজকর্মে বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করলে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে ও দৈনন্দিন সুপেয় পানি পান করলে ডায়রিয়া রোগ থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব।
ডায়রিয়ার বিষয়ে এ সময় সবারই উচিত সচেতন থাকা। তাই জেনে রাখা ভালো ডায়রিয়া হলে দ্রুত কী করণীয়-
>> এক প্যাকেট স্যালাইন আধা লিটার পানিতে গুলিয়ে খাবেন।
>> ১০ বছরের বেশি বয়সীরা ডায়রিয়া হলে প্রতিবার পায়খানার পর এক গ্লাস খাবার স্যালাইন খাবেন।
>> শিশুদের ডায়রিয়া হলে প্রতিবার পায়খানার পর শিশুর যত কেজি ওজন তত চা চামচ বা যতটুকু পায়খানা করেছে আনুমানিক সে হিসেবে খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে।
>> শিশু বমি করলে ধীরে ধীরে খাওয়ান যেমন-৩-৪ মিনিট পরপর এক চা চামচ করে খেতে দিন।
>> খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি ২ বছরের নিচের শিশুকে অবশ্যই মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। কোনোভাবেই বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করা যাবে না।
>> ছয় মাসের বেশি বয়সী শিশুদের ডায়রিয়া হলে খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি সব ধরনের স্বাভাবিক খাবার খাওয়াতে হবে।
তারপরও রোগীর অবস্থার উন্নতি না হলে বা বেশি খারাপ হলে অতি দ্রুত কাছের হাসপাতাল/স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।