রমজানের প্রথম দিনেই তিন ফিলিস্তিনি নাগরিককে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী। পশ্চিত তীরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ইসরায়েলি পুলিশ দাবি করেছে, ওই ফিলিস্তিনিদের কাছে অস্ত্র থাকায় তাদের গুলি করা হয়েছে। খবর আল জাজিরা, প্রেস টিভি।

শনিবার ইসরায়েলি পুলিশের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পাওয়া গেছে। আরও হামলার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

পশ্চিম তীরের জেনিন শহরের দক্ষিণে আরাবা মোড়ে ওই তিন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়। তবে এ বিষয়ে ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেননি।

এদিকে ইসলামিক জিহাদ আন্দোলন এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে যে, তাদের আল কুদস ব্রিগেডসের তিন সদস্য নিহত হয়েছে।

ফিলিস্তিনি ওই গ্রুপটি নিহত সদস্যদের ‘শহীদ’ উল্লেখ করে তাদের নাম প্রকাশ করেছেন। তারা হলেন, জেনিনের বাসিন্দা খলিল তাওয়ালবেহ (২৪), তুলকার্মের বাসিন্দা সাইফ আবু লিবদেহ (২৫) এবং জেনিনেন সায়েব আবাহরা (৩০)।

ফিলিস্তিনের জরুরি সেবা বিভাগ জানিয়েছে, ওই তিন ব্যক্তির মরদেহ রেখে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। পরিবারের কাছে তাদের মরদেহ ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে না।

সম্প্রতি ইসরায়েলে বন্দুকধারীদের হামলা বেড়ে গেছে। সে কারণে বিভিন্ন স্থানে উত্তেজনা বাড়ছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) ইসরায়েলের তেল আবিবের পূর্বে বেনি ব্র্যাকে বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হন।

দেশটির উত্তরাঞ্চলের একটি শহরে স্থানীয় সময় রোববার (২৮ মার্চ) বন্দুকধারীদের হামলায় দুইজন নিহত হন। এ ঘটনার পাঁচ দিন আগে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের শহর বীরশেবায় হামলায় চার ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হন এবং আহত হন আরও বেশ কয়েকজন। পরে ওই দুই হামলার ঘটনার দায় স্বীকার করে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)।