ইসরায়েলের অধিকৃত পশ্চিম তীরে দেশটির নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ইসরায়েলে হামলার ঘটনায় শরণার্থীদের একটি ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন হিসেবে তিনজকে আটক করেন তারা। এসময় তাদেরকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে ফিলিস্তিনের বন্দুকধারীরা এবং তারাও পাল্টা গুলি চালায়। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) পশ্চিম তীরের আরেকটি এলাকায় এক ফিলিস্তিনির ছুরিকাঘাতে একজন ইসরায়েলি আহত হন। পরে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় ওই যুবক।
গত দুই সপ্তাহে ইসরায়েলে সন্ত্রাসী হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। এসব হামলার পর সন্ত্রাস দমনে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে নাফতালি বেনেটের সরকার।
ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) বলছে, দেশটির সেনা ও পুলিশ সদস্যরা জেনিন শহরে অভিযান চালালে বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটে। দু’পক্ষের গোলাগুলিতে নিহত হয় দুইজন।
আইডিএফ আরও জানিয়েছে, বেনি ব্র্যাকে হামলার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে আরও একজনকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে, ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিহত দুই ফিলিস্তিনির একজন ১৭ বছর বয়সী সানাদ আবু আতিয়াহ এবং ২৩ বছর বয়সী ইয়াজিদ সাদি। ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান চলাকালে আরও ১৫ জন আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর।
সম্প্রতি ইসরায়েলে বন্দুকধারীদের হামলা বেড়ে গেছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) ইসরায়েলের তেল আবিবের পূর্বে বেনি ব্র্যাকে বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হন। দেশটির উত্তরাঞ্চলের একটি শহরে বন্দুকধারীদের হামলায় দুইজন নিহত হন স্থানীয় সময় রোববার (২৮ মার্চ)। এ ঘটনার পাঁচ দিন আগে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের শহর বীরশেবায় হামলায় চার ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হন এবং আহত হন আরও বেশ কয়েকজন। পরে ওই দুই হামলার ঘটনার দায় স্বীকার করে ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী (আইএস)।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট এ ধরনের হামলার ঘটনাকে জঘন্য সন্ত্রাসী হামলা বলে উল্লেখ করেন। সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়াসহ হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।