দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং বঙ্গোপসাগর উপকূলের দেশগুলোর মধ্যে প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার প্ল্যাটফর্ম ‘বিমসটেক’ পঞ্চম শীর্ষ সম্মেলন শুরু হচ্ছে আজ।
শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোতে বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন (বিমসটেক) সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিমসটেক সম্মেলন নিয়ে গত ২৪ মার্চ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সরকারপ্রধানদের পঞ্চম বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে ‘বিমসটেক সনদ’ সইয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আশা করা হচ্ছে, সনদটি বিমসটেক ফোরামকে বাংলাদেশসহ বঙ্গোপসাগর এলাকাকে একটি টেকসই শান্তিপূর্ণ ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলতে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে সাহায্য করবে।
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সরকার প্রধানদের পঞ্চম বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে ‘বিমসটেক সনদ’ স্বাক্ষরের প্রস্তাব করা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেদিন বলেন, আশা করা হচ্ছে সনদটি বিমসটেক ফোরামকে বাংলাদেশসহ বঙ্গোপসাগর এলাকাকে একটি টেকসই শান্তিপূর্ণ ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলতে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে সাহায্য করবে।
এদিকে এবারের বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার অন্যান্য সমকক্ষের মতো ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি সামিটে যোগ দেবেন। এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিনিধিরা কলম্বোতে সশরীরে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
আঞ্চলিক সংস্থা বিমসটেক-এর সাতটি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে পাঁচটি দক্ষিণ এশিয়ার। সেগুলো হলো- বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা। এছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুটি দেশ হলো- মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড।
১৯৯৭ সালে ৬ জুন বাংলাদেশসহ চারটি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত হয় বিমসটেক। বর্তমানে সংস্থাটির বাণিজ্য, বিনিয়োগ, সংযোগ এবং শক্তি থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক সহযোগিতার বিস্তৃত ক্ষেত্র রয়েছে।