বলিভিয়ার লা পাজে উচ্চতার কারণে দম নিতে কষ্ট হয় ফুটবলারদের। তার ওপর দলে ছিলেন না নেইমার, ভিনিসিয়াস জুনিয়রের মতো আক্রমণভাগের সেরা দুই তারকা। তবে উড়তে থাকা ব্রাজিলের তাতে যেন ‘থোড়াই কেয়ার’।
বলিভিয়াকে তাদেরই মাঠে রীতিমত বিধ্বস্ত করে তিতের দল ভাঙলো আর্জেন্টিনার সর্বোচ্চ পয়েন্টের রেকর্ড। একই সঙ্গে নিশ্চিত করলো শীর্ষে থাকা।
লা পাজে বাংলাদেশ সময় বুধবার ভোরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচটি ৪-০ গোলে জিতেছে ব্রাজিল। জোড়া গোল করেন রিচার্লিসন। একটি করে গোল লুকাস পাকোয়েতা আর ব্রুনো গিমারেস।
এই জয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলে পয়েন্টের নতুন রেকর্ড গড়েছে ব্রাজিল। ১৭ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট এখন ৪৫। ২০০২ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে মার্সেলো বিয়েলসার নেতৃত্বাধীন আর্জেন্টিনার ৪৩ পয়েন্ট ছিল আগের রেকর্ড।
এস্তাদিও হার্নান্দো সাইলসে বড় জয় পেলেও মাঠের ফুটবল একদমই সহজ ছিল না ব্রাজিলের জন্য। বলিভিয়া কঠিন লড়াই করেছে। তবে তারা সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি, যেটা পেরেছে ব্রাজিল।
ম্যাচের ২৪ মিনিটে অতিথিদের এগিয়ে দেন লুকাস পাকোয়েতা। মাঝমাঠে বল পেয়ে সঙ্গে লেগে থাকা হোসে কারাসকোকে এড়িয়ে রক্ষণচেরা পাসে গিমারেস খুঁজে নেন তাকে। চমৎকার ফিনিশিংয়ে বাকি কাজ সারেন পাকোয়েতা।
প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান রিচার্লিসন। এন্টনি স্কয়ার পাস আলতো টোকায় জালে জড়িয়ে দেন এভারটন ফরোয়ার্ড। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ব্রাজিল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই লড়াইয়ে ফেরার সুযোগ পেয়েছিল বলিভিয়া। তবে ৪৭তম মিনিটে মার্সেলো মোরেনোর হেড ব্যর্থ করে দেন অ্যালিসন। ছয় মিনিট পর আরও একবার দলকে বাঁচান ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক।
এবার রামিরো ভাসার বুলেট গতির শট মার্কিনিয়োসের গায়ে লেগে দিক পাল্টে ঢুকতে যাচ্ছিল জালে। দ্রুত ঝাঁপিয়ে পড়ে বলের নিয়ন্ত্রণ নেন অ্যালিসন।
৬৮ মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করে ব্রাজিল। পাকোয়েতার কাছ থেকে বল পেয়ে দারুণ ভলিতে দেশের হয়ে নিজের প্রথম গোলটি করেন গিমারেস।
আর যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটেই দলের এক হালি পূরণ করে দেন রিচার্লিসন। আলতো টোকায় নিজের দ্বিতীয় গোল তুলে নেন ব্রাজিলের ২৪ বছর বয়সী এই তারকা।