গরমে এক গ্লাস ঠান্ডা শরবত বা টাটকা ফলের রসের তুলনা হয় না। ফলের রস শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে। জানেন কি, তৃষ্ণা মেটানোর পাশাপাশি প্রতিদিন এক গ্লাস ফলের রস পান করে আপনার ওজন খুব দ্রুত কমাতে পারেন।

তাজা ফলের রসে ক্যালোরি কম ও পুষ্টি বেশি মেলে। তাই ওজন কমাতে চাইলে ডায়েটে রাখুন তাজা ফলের জুস। ডায়েটে এগুলো অন্তর্ভুক্ত করলে আপনার বিপাক বাড়বে ও অতিরিক্ত চর্বি কমাবে। জেনে নিন তেমনিই ৫ ফলের দুর্দান্ত ফ্যাট-বার্নার জুস।

>> শশা ও পুদিনা পাতার একসঙ্গে ব্লেন্ড করে তৈরি করে নিন জুস। এক গ্লাস শসার রস আপনাকে হাইড্রেটেড রাখবে ও হজমের উন্নতি ঘটাবে। এই রসে অত্যন্ত কম ক্যালোরি আছে।

এমনকি এটি আপনার বিপাকক্রিয়া বাড়ায়। এই রস খেলে আপনার অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি লোভ কমে যাবে। এতে প্রোটিন, ভিটামিন সি, কে ও ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ। শসার রস আপনার ত্বককে পরিষ্কার ও ব্রণমুক্ত রাখতেও সাহায্য করে।

>> কমলার রসে থাকে ভিটামিন সি, এ ও ক্যালসিয়াম। এই রস আপনার কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। খাদ্যতালিকায় কমলালেবু রাখলে কোলাজেন উৎপাদন বাড়ে।

এটি একটি প্রোটিন, যা ক্ষত নিরাময় করে ও ত্বককে আরও নরম ও উজ্জ্বল করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি কমলার রস মেটাবলিজম বাড়ায় ও দ্রুত ওজন কমায়।

>> ডালিম আয়রন সমৃদ্ধ। যা শরীরের হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে। এছাড়া এই লাল ফল ফোলেট, ভিটামিন কে, ই ও পটাশিয়ামসমৃদ্ধ। এতে আরও আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পলিফেনল ও কনজুগেটেড লিনোলেনিক অ্যাসিড। চর্বি পোড়াতেও সাহায্য করে ডালিমের রস।

>> তরমুজে থাকে ৭০ শতাংশ পানি। অ্যামিনো অ্যাসিড আরজিনিন সমৃদ্ধ তরমুজ চর্বি পোড়ায়। তরমুজ একটি চমৎকার পোস্ট ওয়ার্কআউট ফল হতে পারে। পেশির ব্যথা সারাতে দারুন কার্যকরী তরমুজের রস।

>> করলার নাম শুনতেই নাক সিটকান অনেকেই। তবে জানেন কি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ করলার রস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাতেও সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও অনেক উপকারী এই সবজি।

আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন ও পটাসিয়ামের দুর্দান্ত উৎস হলো করলা। এটি আপনার বিপাককে গতিশীল করে, রক্ত পরিষ্কার করে ও অল্প সময়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে চর্বি পোড়ায়।