রোমানিয়ার বুখারেস্ট বিমানবন্দরে বাংলাদেশগামী ফ্লাইটের অপেক্ষায় রয়েছে নিহত নাবিক হাদিসুরের মরদেহ। শনিবার (১২ মার্চ) দিবাগত রাতে ফ্লাইট শিডিউল রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন বিএমএমওএ সাধারণ সম্পাদক মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মো. সাখাওয়াত হোসাইন।

সকাল সাড়ে ৯টায়  তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে হাদিসুরের মরদেহ বুখারেস্ট এয়ারপোর্টে পৌঁছায়। রোববার (১৩ মার্চ) রাত ৮টায় তার্কিশ এয়ারের একটি ফ্লাইটে ঢাকায় আসবে হাদিসুরের মরদেহ। তিনি নিহত হাদিসুরের রুহের মাগফেরাত কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।

এর আগে ইউক্রেনের ওলভিয়া বন্দরে রকেট হামলায় নিহত এম ভি বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের নাবিক থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মাদ হাদিসুর রহমানের মরদেহ নিয়ে একটি ফ্রিজারভ্যান শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ১১টায় মলদোভা হয়ে রোমানিয়ায় যাত্রা করে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মলদোভা সীমান্ত থেকে রোমানিয়া বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা হাদিসুরের মরদেহ গ্রহণ করেন।

জানা গেছে, বিএসসির মালিকানাধীন জাহাজ বাংলার সমৃদ্ধি ডেনিশ কোম্পানি ডেল্টা করপোরেশনের অধীনে ভাড়ায় চলছিল। মুম্বাই থেকে তুরস্ক হয়ে জাহাজটি ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের ওলভিয়া বন্দরে যায় জাহাজটি। ওলভিয়া থেকে সিমেন্ট ক্লে নিয়ে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইতালির রেভেনা বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা ছিল।

এর আগেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হলে ২৯ জন ক্রু নিয়ে ওলভিয়া বন্দরে আটকাপড়ে জাহাজটি। পরবর্তীতে গত বুধবার ২ মার্চ রকেট হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মারা যায়। তবে অন্য ২৮ জনকে বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) অক্ষত অবস্থায় জাহাজটি থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে বিএসসি।

এরপর হাদিসুরের মরদেহ ও বেঁচে যাওয়া ২৮ নাবিককে একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সহযোগিতায় উদ্ধার পরবর্তী শনিবার ৫ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুরে ইউক্রেনের ওলভিয়া বন্দর সংলগ্ন বাংকার (শেল্টার হাউস) থেকে বেরিয়ে মালদোভার পথে যাত্রা করেন ২৮ নাবিক।

রোববার ৬ মার্চ বেলা ১১টার দিকে তারা ইউক্রেন সীমান্ত পেরিয়ে মালদোভা হয়ে তারা রোববার দুপুরের পর রোমানিয়া পৌঁছান। বুধবার ২৮ নাবিক রোমানিয়ার বুখারেস্ট বিমানবন্দর থেকে তার্কিশ এয়ারের একটি ফ্লাইটে ইস্তাম্বুল হয়ে ঢাকায় ফেরেন। তন্মধ্যে ১২ নাবিক বুধবার রাতেই নভো এয়ারের একটি লোকাল ফ্লাইটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে আসেন।