করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে আরও পাঁচ হাজার ৯৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ লাখ ৮৯ হাজার ২৭৪ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৪ লাখ ৪০ হাজার ৫৪৫ জন।

এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ লাখ ৫৭ হাজার ৮৪৭ জনে। শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪৫ কোটি ৫৫ লাখ ১১ হাজার ৯৫২ জনে। এছাড়া এ পর্যন্ত করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৩৮ কোটি ৮৯ লাখ ৩২ হাজার ২০৪ জন।

এর আগের ২৪ ঘণ্টায় সারাবিশ্বে ছয় হাজার ৬২১ জনের মৃত্যু হয়। একই সময়ে নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হন ১৭ লাখ ৯০ হাজার ৫৮৩ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৭ লাখ ২৫ হাজার ৮৯৫ জন।

শনিবার (১২ মার্চ) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এসময়ে দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৮২ হাজার ৯৭৬ জন। একই সময়ে দেশটিতে মারা গেছেন ২২৯ জন। এ নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮ লাখ ২২ হাজার ৬২৬ জনে। তাদের মধ্যে মারা গেছেন নয় হাজার ৮৭৫ জন।

তবে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে এ পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন এক হাজার ২২ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৯ হাজার ২৫৪ জন। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো আট কোটি ১১ লাখ ৫৪ হাজার ৯৬০ জনে এবং মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে নয় লাখ ৯৩ হাজার ৪৪ জনে।

করোনা সংক্রমণের দিক থেকে তৃতীয় এবং মৃত্যুর দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে একদিনে মারা গেছেন আরও ৪৬৫ জন। এ নিয়ে দেশটিতে এ পর্যন্ত ছয় লাখ ৫৪ হাজার ৬১২ জনের মৃত্যু হলো। ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৫৫ হাজার ২১১ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন দুই কোটি ৯৩ লাখ পাঁচ হাজার ১১৪ জন।

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৮৮ জন। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ২০০ জন। মহামারি শুরুর পর থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন চার কোটি ২৯ লাখ ৮৭ হাজার ৪৬১ জন এবং মারা গেছেন পাঁচ লাখ ১৫ হাজার ৮৩৩ জন।

একদিনে ফ্রান্সে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৭২ হাজার ৩৯৯ জন এবং মারা গেছেন ১৪৯ জন। এ নিয়ে দেশটিতে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো দুই কোটি ৩৩ লাখ ৮১ হাজার ২৭৯ জনে। তাদের মধ্যে মারা গেছেন এক লাখ ৪০ হাজার ২৯ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় জার্মানিতে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন দুই লাখ ৪৫ হাজার ৩৪২ জন। একই সময়ে মারা গেছেন ২৪২ জন। এ নিয়ে দেশটিতে করোনা রোগী বেড়ে দাঁড়ালো এক কোটি ৬৮ লাখ ৮১ হাজার ৯৪৮ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন এক লাখ ২৫ হাজার ৯১১ জন।

যুক্তরাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৪ জনের মৃত্যু এবং ৭২ হাজার ৮২৮ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৯৫ লাখ ৩০ হাজার ৪৮৫ জনে এবং মৃত্যু বেড়ে দাঁড়ালো এক লাখ ৬২ হাজার ৭৩৮ জনে।

এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়ায় ৬৭৪ জন, তুরস্কে ১২৩ জন, ইতালিতে ১৫৬ জন, স্পেনে ৫৮ জন, ইরানে ১৩৯ জন, ইন্দোনেশিয়াতে ২৯০ জন, পোল্যান্ডে ১২১ জন, মেক্সিকোতে ১৯৭ জন, জাপানে ২১১ জন, ভিয়েতনামে ৭১ জন, মালয়েশিয়াতে ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।