রাজধানীর বাজারগুলোতে চলে এসেছে গ্রীষ্মের সবজি পটল। বাজারে নতুন আসা এ সবজিটির দাম বেশ চড়া। এক কেজি পটল কিনতে ক্রেতাদের ১২০ টাকা গুনতে হচ্ছে। পটলের পাশাপাশি একশ টাকার ঘরে রয়েছে বরবটি, ঢেঁড়শ ও করলা। পাশাপাশি অন্যান্য সবজিও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।

সবজির এ চড়া দামের মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে পেঁয়াজ। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ডিম, মাছ ও মুরগির।

শুক্রবার (১১ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা এখন সব থেকে বেশি দামে বিক্রি করছেন পটল। বাজারে নতুন আসা এ সবজিটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা।

গত সপ্তাহে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বরবটির দাম কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। বাজারে নতুন আসা আর এক সবজি ঢেঁড়শের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। গত সপ্তাহে এই সবজির কেজি বিক্রি হয় ১১০ থেকে ১২০ টাকা।

পটল, বরবটি এবং ঢেঁড়শের পাশাপাশি কেজি করলার কেজিও একশ টাকা। এ সবজিটির কেজিও বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এক সপ্তাহে আগে করলার কেজি ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা।

সবজির এমন দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী জামাল হোসেন বলেন, বাজারে নতুন আসার কারণে পটল, ঢেঁড়শ, বরবটির দাম এখন একটু বেশি। নতুন আসা এ সবজিগুলোর সাদা এখন অনেক ভালো। করলার সরবরাহ এখন কম, তাই দাম বেশি। তবে কয়েকদিন পর এসব সবজির দাম কমে যাবে।

খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী মো. আলামিন বলেন, আড়তে অনেক খোঁজাখুঁজি করে পাঁচ কেজি পটল এনেছি। বাজারে নতুন আসায় অনেকে বেশ আগ্রহ নিয়ে কিনছেন। বাজারে নতুন আসা এবং সরবরাহ খুব অল্প হওয়ায় এখন পটলের দাম বেশি। সরবরাহ বাড়লে দাম কমে যাবে।

অন্যান্য সবজির মধ্যে পাকা টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ফুলকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, শাল গম (ওল কপি) ৩০ থেকে ৪০ টাকা, গাজর ২০ থেকে ৩০ টাকা, মুলার ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। লালশাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা, পালংশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

এদিকে, গত সপ্তাহে হুট করে দাম বেড়ে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। এখন পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।

পেঁয়াজের দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বলেন, এখন বাজারে দেশি যে পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে, তা মুড়িকাটা পেঁয়াজ। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই বাজারে হালি পেঁয়াজ চলে আসবে। তাখন পেঁয়াজের দাম আরও কমবে।

মুরগির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩২০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দামে পরিবর্তন আসেনি। গরুর মাংস গত সপ্তাহের মতো ৬৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের মুরগির ডিমও গত সপ্তাহের মতো ১১৫ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে।

মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৪৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছ। শিং ও টাকি মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা।

এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। ছোট ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।