চলমান যুদ্ধ থামাতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে মুখোমুখি বৈঠকে বসার আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এটাই একমাত্র সমাধানের পথ বলে মনে করেন তিনি।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। এসময় জেলেনস্কি পশ্চিমাদের সতর্ক করে বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সামরিক আক্রমণ সফল হলে রাশিয়া বাকি ইউরোপে অগ্রসর হতে পারে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমি পুতিনের সঙ্গে কথা বলতে চাই এমন নয়। “আমাকে পুতিনের সাথে কথা বলতে হবে। বিশ্বকে পুতিনের সঙ্গে কথা বলতে হবে। এই যুদ্ধ থামানোর আর কোনো উপায় নেই।”
এরপর তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘‘আপনি আমাদের থেকে কী চান? আমাদের ভূমি ছাড়ুন।”
তিনি আরও বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে বসুন। (ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর) সঙ্গে বৈঠকের মতো ৩০ মিটার দূর থেকে নয়।”
সম্প্রতি পূর্ব ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর নির্দেশের আগে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত দুটি অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গত ২১ ফেব্রুয়ারি টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে পুতিন ইউক্রেনকে রাশিয়ার ইতিহাসের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, পূর্ব ইউক্রেন এক সময় রাশিয়ার ভূমি ছিল। পুতিনের এ ঘোষণার পরপরই শুরু হয় ইউক্রেন আগ্রাসন।
ইউক্রেনে হামলার জেরে রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা এনেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের পশ্চিমা মিত্ররা। তবে তা উপেক্ষা করেই ইউক্রেনে হামলা অব্যাহত রেখেছে রুশ বাহিনী। টানা ৯ম দিনে হামলায় এক হাজারের মতো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ঘরছাড়া হয়েছেন কয়েক লাখ মানুষ।
এদিকে, চলমান যুদ্ধের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় বৈঠক করেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। বৈঠকে যুদ্ধবিরতির কোনো ঘোষণা না এলেও বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে ‘মানবিক করিডোর’ নির্মাণে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বেলারুশে বৈঠক শেষে টুইটারে এ কথা জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক।