শীত এলেই বাজারে ভরে ওঠে কাঁচা ও পাকা লাল টুকটুকে সব টমেটো। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতে এই সবজি বেশ সহজলভ্য হয়ে ওঠে।

তরকারি থেকে শুরু করে সালাদ হিসেবে সবাই টমেটো খেয়ে থাকেন। এমনকি টমেটো সস বা চাটনি না থাকলে ভাজাপোড়াও মুখে রুচে না।

চাইনিজ থেকে শুরু করে কন্টিনেন্টাল, নিরামিষ-আমিষসহ প্রায় সব ধরনের রান্নার একটি অপরিহার্য উপাদান হলো টমেটো। চিকিৎসকরাও বেশি করে টমেটো খাওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। বিভিন্ন রোগের দাওয়াই হিসেবে কাজ করে টমেটো।

টমেটো হৃদযন্ত্রের সমস্যায়, রক্ত পরিষ্কার রাখতে, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে ও দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতেও ভীষণভাবে সাহায্য করে।

এগুলোর পাশাপাশি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পাকস্থলীর ক্যানসার উপশমেও টমেটো অত্যন্ত সহায়ক। টমেটোর রস পাকস্থলীতে ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি ও ছড়িয়ে পড়া রুখে দিতে সক্ষম বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা।

বর্তমানে অন্যান্য ক্যানসারের চেয়ে পাকস্থলীর ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা বিবেচনায় এটি চতুর্থ স্থানে আছে। বংশগত কারণে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস, অতিরিক্ত লবণ খাওয়া ও ধূমপানের কারণে পীকস্থলীর ক্যানসার হতে পারে।

টমেটোয় থাকা লাইকোপেনে অ্যান্টি টিউমরাল গুণ আছে। ইতালির সিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যানসার গবেষকদের মতে, টমেটোর রস চিকিৎসার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারে। যা ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।

২০১৩ সালে পরিচালিত এক সমীক্ষায় জানা যায়, প্রচুর পরিমাণে টমেটো খেলে গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারেরও ঝুঁকি কমে। ইউএস ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ কর্তৃক এই সমীক্ষাটি পরিচালিত হয়।

অক্সফোর্ড অ্যাকাডেমিকস জার্নাল অব ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটে প্রকাশিত আরেকটি গবেষণায় এ সংশ্লিষ্ট ১২টি কেস অধ্যয়ন করা হয়। যেখানে দেখা গেছে, পাকস্থলীর ক্যানসারের প্রতিরোধে লাইকোপিন বেশ কার্যকরী। যা পাওয়া যায় টমেটোতে।