নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হলেও আইন অনুযায়ী কোনো শূন্যতা সৃষ্টি হবে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (বাংলা পাঠ) এবং জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন ২০২১ এর মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে, ‘এ সময়ের মধ্যে নতুন কমিশন গঠিত না হলে আইনের ব্যত্যয় ঘটবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংবিধানে কিংবা আইনে এ ধরনের কোনো শূন্যতার কথা নাই। সেজন্য কাল এই কমিশনের মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে এবং তারপরও যদি নির্বাচন কমিশন গঠন করতে একটু বিলম্ব হলে আইনে শূন্যতা হিসাবে গণ্য হবে না।’
মেয়াদ শেষ হলে তারা অফিসিয়াল কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না তারা সেটা পারবেন না। কারণ সংবিধানে সুনির্দিষ্টাভাবে বলা আছে তারা পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করবেন। পাঁচ বছর শেষ হয়ে গেলে এমন কথা নাই যে যারা স্থলাভিষিক্ত হবেন তারা না আসা পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবেন। এই সময়ে তো ইলেকশন কমিশন বন্ধ হয়ে যাবে না। অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ দায়িত্ব পালন করবে। কিন্তু নতুন নির্বাচন কমিশন আসলেই কোনো নির্বাচনের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারবে।
এই কমিশন তার যে দায়িত্ব সেটা যথাযথ পালন করতে পেরেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সার্চ কমিটিতে বিএনপি কোনো মতামত দিচ্ছে না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সংসদ আইন পাস করেছে সার্চ কমিটি গঠন করেছে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে গত বছরের ডিসেম্বরের ২০ তারিখ থেকে শুরু করে এই বছর জানুয়ারির ১৭ তারিখ পর্যন্ত যে সংলাপ রাজনৈতিক দলগুলোর হয়েছে, সেই রাজনৈতিক দলগুলো এবং যে দলগুলো সংলাপে যায়নি আজকে যারা সার্চ কমিটিতে যায়নি সকলেরই কিন্তু একটা দাবি ছিল যে একটা ইলেকশন কমিশন গঠনের আইন করা উচিত।
‘সংসদ এই আইন করেছে সকলের পার্টিসিপেশনে। এরকম কোনো আইন এখন পর্যন্ত হয়নি যেখানে বিরোধীদলীয় ২২টি সংশাধনী নেওয়া হয়েছে। এমনকি এই আইনের যে নাম তাও বিরোধীদলীয় যে সংশোধনী তার প্রেক্ষিতে বদলে দেওয়া হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন আইন হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে সার্চ কমিটি কাজ করছে। তারা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন, আমরা আশা করব তাদের দায়িত্ব পালনের শেষে সকলেই একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন পাবে।’
বিএনপি কোনো আলোচনায় অংশ নিলো না সেটিকে গণতান্ত্রিক মনে করেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, অবশ্যই গণতান্ত্রিক না। এটা নিয়ে তো প্রমাণের কিছু নাই যে গণতান্ত্রিক না। গণতন্ত্রের কথাই হচ্ছে সংলাপ। সেখানে প্রত্যেকবারই কোনো পদক্ষেপকে যদি তারা ইতিবাচকভাবে না নিয়ে নেতিবাচকভাবে নেয় তাহলে আমার মনে হয় জনগণ সেটিকে গণতান্ত্রিক বলে মনে করবে না।